পাতা:লেখন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯

ধরার মাটির তলে বন্দী হয়ে যে-আনন্দ আছে
কচিপাতা হয়ে এলো দলে দলে অশথের গাছে।
বাতাসে মুক্তির দোলে ছুটি পেলো ক্ষণিক বাঁচিতে,
নিস্তব্ধ অন্ধের স্বপ্ন দেহ নিলো আলোয় নাচিতে॥

খেলার খেয়ালবশে কাগজের তরী
স্মৃতির খেলেনা দিয়ে দিয়েছিনু ভরি।
যদি ঘাটে গিয়ে ঠেকে প্রভাত বেলায়
তুলে নিয়ো তোমাদের প্রাণের খেলায়॥

দিনের আলোক যবে রাত্রির অতলে
হ’য়ে যায় হারা
আঁধারের ধ্যাননেত্রে দীপ্ত হ’য়ে জ্বলে
শত লক্ষ তারা।
আলোহীন বাহিরের আশাহীন দয়াহীন ক্ষতি
পূর্ণ ক’রে দেয় যেন অন্তরের অন্তহীন জ্যোতি॥

অস্তরবির আলো-শতদল
মুদিল অন্ধকারে।
ফুটিয়া উঠুক নবীন ভাষায়
শ্রান্তিবিহীন নবীন আশায়
নব উদয়ের পারে॥