বিগত ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের তদানীন্তন অন্যতম সহকারী সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এম এ মহাশয় ভারতবর্ষের ধাতুফলকে, মূৰ্ত্তির পাদপীঠে, শরীরগাত্রে এবং প্রস্তরফলকে যে সকল লেখ এ পৰ্য্যন্ত আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে অশোকের লিপি ভিন্ন গুপ্ত-সম্ৰাটদের সময় পৰ্য্যন্ত যত লিপি পাওয়া গিয়াছে, সেই গুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ অৰ্থাৎ প্ৰত্যেক লিপি কবে আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাদেৱ বৰ্ত্তমান অবস্থিতি-স্থান এবং কে কোথায় কোন কোন পুস্তক ও পত্রিকায় তাহাদের আলোচনা করিয়াছেন, তাদের কোনখানি হইতে কি কি তথ্য আবিষ্কৃত হইয়াছে বা আবিস্কারের সাহায্য ইয়াছে, ইত্যাদি বিষয়ের যথাযথ বিবরণ-সম্বলিত “উৎকীৰ্ণ লিপি সঙ্কলন" নামে এক গ্ৰন্থ পরিষৎ কতৃক প্ৰকাশের প্রস্তাব করেন । পরিষদের কাৰ্য্য-নিৰ্ব্বাহক-সমিতি— এই বিবরণ সম্পূৰ্ণ করিয়া প্ৰকাশ করিতে পারিলে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধিৎসুগণের পরম হিত সাধিত হইবে বিবেচনা করিয়া, শ্ৰীক্ত রাখাল বাবু এই সাধু প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করেন। বঙ্গভাষায় এই শ্রেণীর গ্রন্থ ইতঃপূৰ্ব্বে কোথাও প্ৰকাশিত হয় নাই । বিশেষতঃ ইংরেজিতে ডাঃ কীলহর্ণ সঙ্কলিত এইরূপ যে গ্ৰন্থ প্ৰচলিত রহিমাছে, তাহা অনেক বিষয়ে অসম্পূৰ্ণ । কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহক সমিতি শ্ৰীযুক্ত রাখাল বাবুর উপর এই গ্ৰন্থ সঙ্কলনের ও সম্পাদনের ভার অৰ্পণ কবেন । তদবধি শ্ৰীযুক্ত বাখাল বাবু বহু পরিশ্রম করিয়া, ১৩১৭ বঙ্গাদ হইতে কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহক-সমিতির নিৰ্দেশমত লোক নিযুক্ত কবিয়া এই গ্ৰন্তের পাণ্ডুলিপি প্ৰস্তুত করিতে প্ৰবৃত্ত হন । ১৩২০ বঙ্গাব্দে গ্ৰন্থ খানির প্রথম খণ্ডের পাণ্ডুলিপি লিখিত হয়। এই খণ্ডে ৯৭টি লেখের বিবরণ সঙ্কলিত হয় । ১৩১১ বঙ্গাব্দে কাৰ্য্য-নিৰ্ব্বাচক-সমিতির নিৰ্দেশমত পরিষদের সভাপতি মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্ৰসাদ শাস্ত্ৰী সি আই ই, এম এ মহাশয়, এই গ্রন্থের পূৰ্ব্বনিৰ্দ্ধারিত “উৎকীৰ্ণ লিপিসঙ্কলন” নাম পরিবর্ত্তন করিয়া, “লেখমালানুক্ৰমণী’ নামকরণ করেন । শ্ৰীযুক্ত রাখাল বাবুর অনবকাশ ও শারীরিক অসুস্থতাবশতঃ এই গ্রন্থ প্রকাশে দীৰ্ঘ কাল বিলম্ব ঘটিয়া যায়।
পাতা:লেখমালানুক্রমণী (প্রথম খণ্ড, প্রথম ভাগ).djvu/৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
প্ৰকাশকের নিবেদন