পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষা।
৮১

সমুদ্র যাত্রা করিয়া দেশ বিদেশে ভ্রমণ করিব, ক্রমে এ ইচ্ছা সুরেশের মস্তিষ্কের সহিত যেন সংমিশ্রিত হইয়া গেল। তাহার প্রকৃতিতে সমুদ্র যাত্রা, সমুদ্রে সমুদ্রে নাবিকদিগের তার জীবন যাত্রা নির্বাহ করা, যেন সতসিদ্ধ বলিয়া তাহার নিকট বোধ হইতে লাগিল। ভ্রমণ বৃত্তান্তের নানা পুস্তক পাঠ করিয়া নানাদেশ ভ্রমণে তাহার প্রাণ ব্যাকুল হইয়া উঠিল। কোন গতিকে এদেশ ত্যাগ করিয়া যাইবার এ সুরেশ উন্মত্ত হইলেন।

 এ সময়ে তিনি লণ্ডন মিশন কলেজে বসবাস করিতে ছিলেন। আসটন সাহেব ও সপরিবারে সেইস্থানে থাকিতেন। তিনি বরাবরই সুরেশকে স্নেহ করিতেন —এক্ষণে সুরেশ খৃষ্টান হইয়া একরূপ তাহার পরিবার ভুক্ত হইয়া পড়িয়াছি লেন। তাহারা সকলেই তাহাকে বিশেষ আদর যত্ন করিতেন। অবসর মত একটু পড়াশোনা করিয়া সুরেশ আত্মোন্নতি করেন, আসটন সাহেব সর্বদাই সে বিষয়ে বিশেষ যত্ন করিতেন। এখন যেরূপ চাকরীই সুরেশ করুন না কেন, লেখা পড়ার একটু উন্নতি করিলে যে ভবিষ্যতে ভাল হইতে পারে, আসটন সাহেব সদাই সুরেশকে এ বিষয়ে উপদেশ দিতেন। সংসার হয় বিদ্যা নয় ধন না থাকিলে যে কেহই কাকে মানুষ বলিয়া গণ্য করে না, তাহা এসংসারে আমরা কে না বুঝি? আসটন সাহেব ইহা জানিতেন, এবং তাহাই তিনি সুরেশকে লেখা পড়ায় অবসর মত মন দিতে বিশেষ জেদাজিদি করিতেন; কিন্তু তাহার সদুপদেশ বধির কর্ণে প্রদত্ত হইত, সুরেশের সহিত সরস্বতীয় চির বিবাদ,—পড়া শোনা করিবার লোক তিনি