সুবিধা পাইলে খুন করিতেও তাহারা কিছু মাত্র সঙ্কুচিত হইত না। এই সকল দুর্ব্বৃত্ত মগগণ প্রায় লুটপাট করিয়া ধৃত হইত না। পুলিশ ইহাদের কিছুই করিতে পারি না। এমন কি দিনের বেলায়ও ইহারা ইহাদের অস্ত্র দা হস্তে লইয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গলিঘুজিতে লুটের প্রত্যাশায় বসিয়া রহিত, সুবিধা পাইলেই লোকজনের সর্বস্ব কাড়িয়া লইত। এরূপ বিপদসঙ্কুল সহর পৃথিবীর আর কুত্রাপি ছিল না; এত দুর্ব্বৃত্ত লোকও বোধ হয় অন্যত্র দেখা যাইত না। মগেরা চিরকালই লুটপাট করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিত; যখন সুরেশ রেঙ্গুন গিয়াছিলেন, তখন এই স্থানের মগগণ পূর্ব্ব স্বভাব তখনও ভুলিতে পারে নাই।
সুরেশের বন্ধু তাহাকে এ সকল কথা বলিয়া সাবধান করিয়া দিয়াছিলেন, কিন্তু ভয় কাহাকে বলে সুরেশ তাহা জানিতেন না,বন্ধুর কথায় যে তিনি বিশেষ কর্ণপাত করিয়াছিলেন, এরূপ বোধ হয় না। বিশেষতঃ তিনি গৃহে বসিয়া থাকিতে পারেন না, চাকুরীর চেষ্টায় তাহাকে সকল সময়েই সহরের সকল স্থানে যাইতে হইতেছে। বদমাইসের ভয় করিলে চাকুরীর চেষ্টা করা হয় না।