পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

দিকে গেলেন। দেখিলেন একটি বাড়ীতে আগুন লাগিয়াছে, সেই সময়ের প্রবল বাতাসে আগুন ক্রমে ভয়ানক প্রবল হইয়া উঠিতেছে, নিকটস্থ দুই একটা বাড়ীতে লাগিকাছে। হাজার হাজার লোক সেই খানে জমিয়াছে, কি জন কয়েক ব্যতীত অপর সকলে দাঁড়াইয়া কেবল তামাসা দেখিতেছে। যাহা জল লইয়া আসিয়া আগুণ নিবাইবার চেষ্টা করিতেছিল, তাহায় শত চেষ্টাতেও আগুণকে নির্বাপিত করিতে পারিতেছিল না। বাতাসের সহায়তা পাইয়া না ভয়াবহ ভাবে প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিতেছিল। সুরেশ নিকটে গিয়া যাইয়া আগুণ নিবাইবার চেষ্টা করিতেছিল, যথাসাধ্য তাহাদের সাহায্য করিতে লাগিলেন, কিন্তু তাহাদের শত চেষ্টায় আগুন নিবিল না, —একের পর অন্য বাটী গ্রাস করিতে লাগিল।

 সহসা সেই মহা কোলাহল ভেদ করিয়া একটা রমণীয় আর্তনাদ শ্রুত হইল। সকলে চমকিত হইয়া বাড়ীর দিকে চাহিল দেখিল এক যুবতী সেই অগ্নি প্রজ্জ্বলিত বাটীর দ্বিতল গবাক্ষে, অগ্নি ও ধূমের মধ্যে দণ্ডায়মানা, তাহার চক্ষু বিস্ফারিত, হস্ত প্রসারিত, বদন আকাশের দিকে উত্তোলিত। দেখলেই স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় ভয়ে যুবতীয় চক্ষু বিস্ফারিত, রক্ষা পাইবার আশায় হস্ত প্রসারিত ও ভগবানের প্রতি দৃষ্টির জন্য বদন আকাশের দিকে উদ্বেলিত। এ দৃশ্য দেখিয়া জনতাস্থ সহস্র লোকের হৃদয়ে বিশেষ বেদনা লাগিল সত্য, কিন্তু কেহই সেই রমণীকে রক্ষা করিবার জন্য চেষ্টীত হইল না। এক্ষণে বাটীটীকে অগ্নি যেরূপ গ্রাস করিয়াছিল তাহাতে এই রমণীকে