খ্যাতি লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছেন। সেই সহিষ্ণুতার বলে তিনি মান্দ্রাজের প্রতি খ্রীষ্টান পরিবারের দ্বারে উপস্থিত হইয়া যে কোন কাজ করিতে প্রস্তুত বলিয়া দণ্ডায়মান হইলেন, কিন্তু কোথায়ও কোন কাজ জুটল না। তিনি এমন কি একটা বাড়ীও দেখিতে বাদ রাখিলেন না; মান্দ্রাজে যত খ্রীষ্টান পরিবার ছিল, তাহায় প্রত্যেকের নিকট গেলেন, কিন্তু কোথায়ও কিছু হইল না। তিনি ক্রমে হতাশ হইতে লাগিলেন, তাহার নিকট যে কয়টী মাত্র টাকা ছিল তাহাও ক্রমে ফুরাইয়া আসিল। শেষ কয়েক আমা মাত্র অবশিষ্ট আছে—এই কয়টী পয়সা ব্যয় হইয়া গেলে তাহাকে এই বিদেশে অনাহারে রাজপথের ধারে পড়িয়া মরিতে হইবে। কলিকাতায় ফিরিয়া যাইবায় তার আর উপায় নাই, তাহার জাহাজ ভাড়া নাই; খাটিয়া কোন চাকুরী করিয়া জাহাজ ভাড়া সংগ্রহ করিতে না পারিলে তাহার পর দেশে ফিয়িবার উপায় নাই! তিনি কি করবেন, কোথায় যাইবেন, কিছুই স্থির করিতে পারিয়া অন্য মনে সমুদ্রের তীরে আসিলেন। সম্মুখে নীল সমূদ্র ফেনমালায় ভূষিত হইয়া পর্ব্বতাকার তরঙ্গে গড়াইতে গড়াইতে বেলাভূমে আসিয়া পড়িতেছে-সুরেশ জীবনে হতাশ হইয়াছেন, সমুদ্রের এই ভীম ভাব তাহার নয়ন পখে পতিত হইলে তিনি মনে মনে ভাবিলেন, জীবনে আর প্রয়োজন কি? এত কষ্ট পাইয়া কষ্টের জীবন রাখার লাভ কি। এই ত সমুখে সমুদ্র নাচিতেছে। লাফাইয়া যায় শীতল গর্তে পতিত হইলেই ত সকল জ্বালা জুড়ায়? কতবার তিনি এই ভাব মন হইতে দূর করিলেন, তিনি সমু-
পাতা:লেফ্টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।