পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

 যাহার শরীরে বল আছে ও হৃদয়ে সাহস আছে ইংরাজ রমণীগণ তাহাকে বড় ভালবাসেন। সুরেশের শরীরে অসীম বল ছিল;—সাহসে সুরেশের সমতুল্য পাওয়া যাইত না। ইংরাজের মধ্যে অল্প লোকই ছিল যে তাঁহার সহিত আঁটিয়া উঠিত,—এ কারণেও ঐ সকল ইংরাজ-মহিলা তাঁহাকে বড় ভালবাসিত। কিন্তু ইহাদের মধ্যে একজন তাঁহাকে বড়ই ভালবাসিতে আরম্ভ করিল। সে তাঁহাপেক্ষা অনেক বয়োজ্যেষ্ঠা, এবং বিবাহিতা,—তাহার স্বামী ছুতোরের কাজ করিত। প্রথম হইতেই সে সুরেশকে বড়ই যত্ন করিতে আরম্ভ করিয়াছিল,—তাহার হৃদয় যে তাঁহার প্রেমে পূর্ণ হইয়াছে সুরেশ ইহা কতক কতক বুঝিতেও পারিয়াছিলেন,—এক দিন এই রমণী স্পষ্টই নিজ হৃদয় ভাব সুরেশের নিকট জ্ঞাপন করিল। সুরেশ তাহাকে অনেক বুঝাইলেন, কিন্তু সে তাঁহার জন্য পাগল;—কোন কথাতেই কর্ণপাত করিল না; প্রত্যহই তাহার ভালবাসার বেগ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল,—সে ক্রমে অতি প্রকাশ্যভাবে সুরেশের প্রতি প্রেম প্রকাশ করিতে লাগিল;—এমন কি সুরেশ দেখিলেন যে ডাইভোর্স আদালতে হয়ত তাঁহাকে বাইতে হয়। রমণী এমনই কাণ্ড করিতে লাগিল যে এ কথা তাঁহার স্বামীর কর্ণগোচর হওয়া আর অসম্ভব রহিল না, তাহা হইলে সুরেশের যে সমূহ বিপদ হইবার সম্ভাবনা তাহা সুরেশেও বেশ বুঝিলেন,—তিনি কত অনুনয় বিনয় করিলেন কিন্তু রমণী তাঁহার কোন কথাতেই কর্ণপাত করিল না। সুরেশ অতি কষ্টে তাঁহার হস্ত হইতে আত্মরক্ষা করিতে লাগিলেন;—বিশেষতঃ তাঁহার এ সময়ে কোন কাজ না থাকায় দুই প্রহরে যখন সকলে কাজে