পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রেমে-সঙ্কট।
১৩৫

যাইত, তখন তাঁহাকে গৃহে থাকিতে হইত। এ সময়ে তাহাকে নির্জ্জনে পাইয়া রমণী তাঁহাকে অনেক অনুনয় বিনয় করিত,—অনেক সাধ্যসাধনা করিত,—কখন কখন উন্মত্তের ন্যায় তাঁহাকে আলিঙ্গন করিতে আসিত,—সুরেশ এ মহা সঙ্কটে পড়িয়া কি করিবেন কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না।

 এক দিন রাত্রে সুরেশ তাঁহার নিজ ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ মধ্যে বসিয়া এক মনে একখানি পুস্তক পাঠ করিতেছেন,—এ রূপ সময়ে একটী অর্দ্ধ উলঙ্গী রমণী নিঃশব্দে তাঁহার গৃহে প্রবেশ করিল, নিঃশব্দে তাঁহার নিকটে আসিয়া সহসা ফুঁ দিয়া আলো নিবাইয়া দিল। সুরেশ চমকিত হইয়া পশ্চাতে চাহিলেন, কিন্তু কে তাঁহাকে এই সময়ে সবলে জড়াইয়া ধরিয়া আলিঙ্গন করিল,—তাহার ওষ্ঠে পুনঃ পুনঃ চুম্বন করিতে লাগিল;—সুরেশ কথা কহিতে গেলে হাত দিয়া মুখ চাপিয়া ধরিল। সুরেশ অতি কষ্টে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে?” রমণী উত্তর করিল, “নিষ্ঠুর, যাহাকে তুমি পাগল করেছ?’’

 সুরেশের বুঝিতে বাকি রহিল না। তিনি এ রমণীকে জ্ঞাতসারে এ রূপ অভিসারে আসিতে কখনও উৎসাহিত করেন নাই। ইহাতে তাঁহার সমূহ বিপদের আশঙ্কা আছে। তিনি ভীত হইয়া বলিলেন, “আপনি কি করিয়াছেন! এত রাত্রে আমার নিকট কেন আসিয়াছেন। আপনার স্বামী জানিতে পারিলে আপনাকে ও আমাকে উভয়কেই বিপদে পড়িতে হইবে।

 বিপদ! বিপদাপন্ন বুঝি না। তুমি আমাকে পাগল করিয়াছ। আমি মরি, আমাকে রক্ষা কর।

 এই বলিয়া রমণী কাঁদিয়া উঠিল। ফুলিয়া ফুলিয়া কাঁদিতে