পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

লাগিল। সুরেশ মহাবিপদে পড়িলেন,—কি করিবেন, কিছু স্থির করিতে পারিবেন না।

 তখন রমণী বলিল। “আমার স্বামী বাড়ী নাই, রাত্রে আসিবে না। তার জন্য কোন ভাবনা নাই। বল তুমি আমায় ভালবাস, তা হলেই আমি সন্তুষ্ট হব। তোমাকে না পেলে আমি প্রাণ রাখিব না।

 সুরেশ। ‘‘এ রকম কথা বলিবেন না। এ রূপ কথা বলা শোনা দুই পাপ। আমায় ক্ষমা করুন।

 রমণী তাহার কথায় কর্ণপাত করিল না। সহসা তাহার গলা জড়াইয়া ধরিয়া তাহাকে সোয়াইয়া ফেলিল, তাহার হৃদয়ের উপর শুইয়া পড়িল। সুরেশ তাহার হস্ত হইতে রক্ষা পাইবার জন্য উঠিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এই সময়ে সৌভাগ্যক্রমে পার্শ্বের প্রকোষ্ঠ হইতে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল “কি মহাশয় এখনও নিদ্রা যান নাই।’’ সুরেশ বলিলেন, “না—তারই আয়োজন করিতেছি।” পার্শ্বের গৃহে লোক জাগিয়া আছে দেখিয়া রমণীও সুরেশকে ছাড়িয়া দিল। বলিল “একটী বিদায় চুম্বন দাও আমি চলিয়া যাই।’’ সুরেশ কি করেন, তিনি রমণীয় হস্ত হইতে অব্যাহতি পাইবার জন্য অগত্যা সম্মত হইলেন। তখন সেই রমণী নিশব্দে গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেল।

 জীবনে সুরেশ এরূপ বিপদে আর কখন পড়েন নাই। তিনি এই রমণীর হস্ত হইতে কিরূপে রক্ষা পাইবেন। প্রথমে তিনি ভাবিলেন যে তাহার বন্ধু সম্বাদপত্র বিক্রেতা বালকের সহিত এ বিষয়ে পরামর্শ করিবেন, কিন্তু তৎপর মুহূর্ত্তেই ভাবিলেন, রমণী হৃদয়কে দমন করিতে না পারিয়া তাঁহাকে