পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুরেশ ফিরিওয়ালা।
১৩৯

বিলাতের পল্লীগ্রামগুলি দেখিবার জন্য সুরেশের বড়ই কৌতূহল ও ইচ্ছা ছিল। তিনি এক্ষণে সেই ইচ্ছা পূর্ণ করিবার জন্য এবং ছুতার রমণীর হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইবার অভিপ্রায়ে পদব্রজে বিলাতের গ্রামে গ্রামে পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন।

 তাঁহার দ্রব্যাদিও বেশ দরে বিক্রয় হইতে লাগিল। একে তিনি ভারতবাসী বিদেশী,—অনেকে তাঁহাকে দেখিবার জন্য, তাঁহার সহিত কথা কহিবার জন্য, তাঁহার নিকট ভারতবর্ষের কথা শুনিবার জন্য তাঁহাকে গৃহে ডাকিয়া লইয়া যাইত। শেষে তাঁহাকে কেহ ফিরাইতে পারিত না;—কিছু না কিছু ক্রয় করিত। একে তিনি ভারতবাসী তাহাতে দেখিতেছে ভারতীয় দ্রব্য;—তাহার উপর সুরেশ কতক সত্য কতক মিথ্যা এই সকল দ্রব্যের নানা ইতিহাস বলায় অনেকেই অধিক মূল্য দিয়া তাঁহার দ্রব্য ক্রয় করিতে লাগিল। এইরূপে কয়েক দিনের মধ্যে তাঁহার সকল দ্রব্যই বিক্রয় হইয়া গেল। তাঁহার সমস্ত খরচ খরচা বাদে তাঁহার দুই পয়সা বেশ লাভও হইল। তিনি আবার লণ্ডনে ফিরিয়া আসিয়া আবার নানা দ্রব্য সংগ্রহ করিয়া আবার একদিকে বহির্গত হইলেন। এইরূপে ফিরিওয়ালার কাজ ৪।৫ মাস করিবার পর তিনি দেখিলেন যে, সুখে স্বচ্ছন্দে আহার বিহার করিয়াও তাঁহার প্রায় ১০০।১৫০ টাকা জামিয়া গিয়াছে। যদিও এ কার্য্যে ক্লেশ অনেক হইত সন্দেহ নাই, কিন্তু আমোদও অনেক মিল। ভারতবাসী বলিয়া সর্ব্বত্রই তিনি বিশেষ সমাদর পাইতেন,—কোন গৃহে যাইতেই তাঁহার প্রতিবন্ধক ছিল না, সকলেই তাঁহার আদর অভ্যর্থনা করিতেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার