প্রথম রাত্রির পর সুরেশ ইংলণ্ডের নানা সহরে দর্শকমণ্ডলীয় সম্মুখে উপস্থিত হইয়া নানা ক্রীড়া দেখাইতে লাগিলেন। সারকাস ক্রীড়ক বলিয়া খ্যাতি লাভ তাহার হৃদয়ের ঐকান্তিক বাসনা; সারকাসক্রীড়ক বলিয়া যাহাতে তিনি জগতে অদ্বিতীয় হইতে পারেন, তাহাই তাঁহার জীবনের ব্রত হইল। যে কোন বিষয়েই হউক না কেন প্রাণপণ চেষ্টা পাইলে সিদ্ধ মনোরথ হওয়া বিচিত্র নহে। বিশেষতঃ সুরেশ চিরকালই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন,—যখন যে বিষয়ে মন নিবেশ করিতেন, যতক্ষণ না তাহাতে সিদ্ধি লাভ করিতেন, ততক্ষণ তাহা ছাডিছন না। এক্ষণে সরকাসে প্রবিষ্ট হইয়া যাহাতে প্রতিপত্তি লাভ করিতে পারেন তাহার জন্য যত্ন বা পরিশ্রমের ত্রুটি করিলেন না। দিবসের অধিকাংশ সময়ই আপন ব্যবসার দক্ষতা লাভ কৰিব জন্য তাহার অনুশীলন করিতেন,—কাজেই দেখিতে দেখিতে তিনি এক জন অতি সুদক্ষ ক্রীড়ক হইয়া উঠিলেন। দেশ দেশান্তরে যেখানে তাঁহাদের ক্রীড়া হইতে লাগিল, সেই সেই স্থানেই