পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

তেন,—প্রত্যেক পত্রেই মাকে প্রণাম জানাইতেন,—পত্রের অধিকাংশই মায়ের কথার পূর্ণ থাকিত। কখন কখন যে তাহার প্রাণ দেশে ফিরিবার জন্য ব্যাকুল হইত,—আতমীয় স্বজনকে দেখিবার জন্য উৎসুক হইত, কখন কখন তাহার হৃদয় মায়ের জন্য কাঁদিয়া উঠিত, তাঁহার এই সময়ের পত্র পাঠ করিলে বেশ বুঝিতে পারা যায়। তাঁহার কয়েকখানি পত্র পরিশিষ্টরূপে এই পুস্তকে সন্নিবিষ্ট হইল।

 সুরেশ পূর্ব্বে বিদেশে যত কষ্ট পাইয়াছিলেন, এক্ষণে সেই রূপ সুখে কালযাপন করিতে লাগিলেন। এক্ষণে তাহার আহাবিহারের কোনই কষ্ট নাই;—সপ্তাহে সপ্তাহে ১৫/২০ শিলিং উপরন্তু। পাইতেছেন; তাঁহার পোষাক পরিচ্ছদ ভাল হইয়াছে, তিনি এক্ষণে ভদ্রসমাজে ভদ্রভাবে মিশিতে পারিয়াছেন এইরূপে তিনি সুখে স্বচ্ছন্দে মান সম্ভ্রমে থাকিয়া ক্রমে খ্যাতি লাভ করিতেছিলেন।

 এক্ষণে তিনি আর বালক নাই-যৌবনে উপনীত হইয়াছেন। যৌবন-সুলভ ভাবাবেশে তাহার দেহ মন সমস্তই উৎফুল্ল হইয়াছে,—তাঁহার হৃদয়ে তাঁহার অজ্ঞাতসারেই প্রেম দেখা দিয়াছে। সারকাসদলে কয়েকটী বালিকা ছিল, ইহার মধ্যে একটী জারমান-জারমানি দেশে জন্ম।—তবে এই বালিকা বা যুবতী জারমান হইলেও ঠিক ইংরাজের ন্যায় কথা বলিতে পারিতেন। ইনি ইহার গত জীবনের বিষয় কাহাকেও কিছু বলিতেন না,—ইহার পিতা মাতা বা গৃহের কথা কেহ জানিত না, ইনিও কাহাকে কিছু এ সম্বন্ধে বলিতেন না। কেহ এ সম্বন্ধে কথা তুলিলে ইনি বিলক্ষণ বিরক্ত হইতেন। ভ্রুকুটি করিতেন। ইহার