একদিন সুরেশ বাজার হইতে নিজ প্রয়োজনীয় কতকগুলি দ্রব্য ক্রয় করিয়া আনিলেন। এইরূপ দ্রব্যাদি আনিলে উক্ত জারমান বালিকা তাহার দ্রব্যাদি লইয়া তাহার বাক্সে গুছাইয়া রাখিয়া দিতেন। অদ্যও ইনি সুরেশের দ্রব্যাদি এক এক করিয়া কাগজের মোড়ক হইতে খুলিতেছিলেন। একটী দ্রব্য একখানি পুরাতন জারমান সংবাদপত্রে জড়িত ছিল। নিজ দেশের সংবাদ পত্রই হউক বা যে কারণেই হউক বালিকার সৃষ্টি সেই কাগজে আকৃষ্ট হইল। তিনি কাগজখানি তুলিয়া লইয়া পাঠ করিতে লাগিলেন, ক্রমে তাহার দৃষ্টি একটা বিজ্ঞাপনে পডিল। বিজ্ঞাপনটীতে মৃত্যু শয্যায় শায়িতা জননী নিরুদ্দেশ কন্যাকে সত্বর তাঁহার সহিত মৃত্যুকালে একবার দেখা করিবার জন্য কাতর কণ্ঠে অনুনয় করিতেছেন। বিজ্ঞাপনটী দেখিয়া বালিকার দুই চক্ষু হইতে দরবিগলিত ধারে নয়নাশ্রু বলিল। সুরেশ অন্যদিকে চাহিয়া ছিলেন, সহসা ফিয়িয়া বালিকাকে কাঁদিতে দেখিয়া তিনি আশ্চর্য্যান্বিত ও ব্যথিত হইলে, তিনি সাদরে বালিকার হস্ত ধারণ করিয়া সস্নেহে সপ্রেমে তাঁহার ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। তাঁহার প্রশ্ন বালিকা শোকে