পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

ভারতবর্ষে আসিয়াও ভারতের নিবিড় অরণ্য মধ্যে ব্যাঘ্র, ভল্লুক হস্তীর সহিত বাস করিয়াছেন,—ইয়োরোপে ইহার তুল্য পশুশকারী আর কেহ ছিলেন না। সুরেশকে দেখিয়া, সুরেশের সাহসে, সুরেশের তীক্ষ্ণবুদ্ধিতে, সুরেশের মানসিক বলে, তিনি সুরেশের প্রতি আকৃষ্ট হইলেন এবং নিজ সহকারীরূপে তাঁহাকে পশুবশ কার্য্য শিক্ষা দিবার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। সুরেশ তাহাই চাহেন,—এত দিনে অদৃষ্টদেৰী তাঁহার প্রতি সুপ্রসন্না হইলেন,—তিনি ধন মান যশের পথে অগ্রসর হইলেন। জামবাক্ সাহেব প্রস্তাব করিবামাত্র তিনি সাগ্রহে তাঁহার প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। সারকাস পরিত্যাগ করিয়া তাঁহার সহিত তিনি তাহার পশুশালায় প্রস্থান করিলেন।

 এখানে জামবাক্ সাহেবের অধীনে তিনি নানা হিংস্রজন্তু বশ করিয়া তাহাদের সহিত নানা ক্রীড়া কৌতুক করিতে লাগিলেন। সিংহ ও ব্যাঘ্র বশ করা ও তাহাদের সহিত ক্রীড়া করাই ও তাঁহার বড় প্রিয় কার্য ছিল। তিনি অল্প দিনের মধ্যেই এই দুঃসাহসিক কার্যে এত সুদক্ষ হইলেন যে জামাবাখ্ সাহেব দেখিয়া বিশেষ প্রীত হইলেন,—প্রকৃতই তাঁহার সহকারীদিগের মধ্যে সুরেশের সমকক্ষ আর কেহই ছিল না।

 এইরূপে দুই বৎসর কাল জামবাক্ সাহেবের নিকট থাকিয়া তিনি পুনরায় সারকাস দলে প্রবেশ করিলেন। এক্ষণে সারকাসে তিনি ব্যাঘ্র সিংহের সহিত খেলা দেখাইয়া দর্শকদিগকে মোহিত ও স্তম্ভিত করিতে লাগিলেন। যখন যেখানে তাহার খেলা হইয়াছিল সেইস্থলে সকলেই তখন তাঁহার অমানুসিক সাহসে মুগ্ধ হইয়াছিলেন। অনেক রাজন্যবর্গের সম্মুখেও ক্রীড়া দেখাইয়া