পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শুভাদৃষ্টের পথে।
১৫৭

তিনি বিশেষ প্রশংসা লাভ করিয়াছিলেন। এইরূপে সমস্ত ইয়োরোপে তাঁহার নাম প্রচার হইতে লাগিল;—সকলেই তাঁহাকে চিনিল। অবশেষে ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে লগুনে যে মহা প্রদর্শনী হয়, সুরেশ সেই প্রদর্শনীতে সিংহ ও ব্যাঘ্রের সহিত ক্রীড়া করিয়া জগদ্‌ব্যাপী খ্যাতি লাভ করিলেন। এই সময়ে তিনি বহু সংখ্যক মেডেল ও সার্টিফিকেট পাইয়াছিলেন, এখানে সে সকলের উলেখ নিষ্প্রয়োজন।

 সারকাস দলের সহিত ঘুরিতে ঘুরিতে তিনি এক সময়ে হামবার্গ নগরে উপস্থিত হইলেন। এই স্থানে গাজেনবাক নামক এক সাহেবের এক বৃহৎ পশুশালা ছিল। ইনি দেশ ও বিদেশ হইতে নানা পশু আনয়ন করিয়া তাহাদিগকে নানা রূপে শিক্ষা দিয়া তৎপরে ভিন্ন ভিন্ন দেশের পশুশালায় বা ভিন্ন ভিন্ন সারকাস দলে এই সকল পশু বিক্রয় করিতেন। ইহাই ইঁহার ব্যবসা ছিল এবং এই ব্যবসায়ে ইনি বিলক্ষণ অর্থ উপার্জন করিতেন। হিংস্র পশুর সহিত সুরেশের ক্রীড়া দেখিয়া ইনি সুৱেশকে নিজ পশুশালায় নিযুক্ত করতে ব্যগ্র হইলেন এবং সারকাসে যে বেতন পাইতেন, তাহাপেক্ষা অধিক বেতন দিতে স্বীকৃত হইলেন। সুরেশও সারকাস পরিত্যাগ করিয়া গাজেনবাক সাহেবের পশুশালার কার্য গ্রহণ করিলেন।

 এখানে সুরেশ সিংহ, ব্যাঘ্র, ভল্লুক, হস্তী প্রভৃতি পশুদিগকে মানা ক্রীড়া শিক্ষা দিতে লাগিলেন, এবং নিজে, অন্য পশুর কথা দূরে থাকুক দুর্দান্ত সিংহ ব্যাঘ্রকে কুকুর বিড়ালের ন্যায় করিয়া তাহাদের সহিত খেলা করিতেন,—তাহারা তাঁহর হাত চাটিত, গা চাটিত,