রাজা হইলেন। তদবধি পর্টূগিজ সম্রাটই ব্রেজিলে রাজ্য করিতে হিলেন, পরে রাষ্ট্রবিপ্লব হইয়া এক্ষণে ব্রেজিল সাধারণতন্ত্র প্রণালী অনুসারে শাসিত হইতেছে।
যে দেশে সুরেশ গৃহবাটী নির্ম্মাণ করিয়া বিবাহ করিয়া বসবাস করিয়াছিলেন, সে দেশের স্থূল বিবরণ তাঁহার জীবন বৃত্তান্তে অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। ভূবৃত্তান্ত পাঠে ইহার কতকটা আভাসও পাওয়া যায়। বলা বাহুল্য দেশ যেরূপ উর্ব্বরা তাহাতে ইহাতে যদি সেইরূপ লোকের বসবাস থাকিত, তাহা হইলে জগতে ব্রেজিল ধনধান্যে একটী প্রধান দেশ বলিয়া পরিগণিত হইত,—কিন্তু ইহা আকারে ইয়োরোপের ন্যায় হইলেও ইহার লোক সংখা অতি অল্প। এই তিনটী সহর ব্যতীত আর সহর নাই, অধিকাংশ স্থলই ঘোর জঙ্গলে পূর্ণ,লোকালয়ের সম্বন্ধ নাই। এই বড় দেশে রেল একেবারেই ছিল না, সম্প্রতি কোন কোন স্থানে রেল হইয়াছে। ইহার প্রধান সহরের নাম রাইও-ডি জ্যানিরো। এই নগরটী আটলাণ্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত, ইহার লোকসংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষের উপর নহে। এইটাই এ দেশের রাজধানী।
এক্ষণে সুরেশ এই নগরে আসিয়া তাহার অদ্ভুত ক্রীড়া দেখাইতে লাগিলেন। তিনি যে এ সময়ে কেবল সরকাসই করিতেন এ রূপ নহে। “লা ক্রনিকা” নামক প্রসিদ্ধ সম্বাদ পত্রে আমরা দেখিতে পাই যে তিনি এই সময়ে নানা বিষয়ে বক্তৃতদিও প্রদান করিতেন। তিনি এই সকল বক্তৃতা যে কেবল ইংরাজীতেই দিতে লাগিলেন, এমত নহে;—ব্রেজিলে তিনি ব্রেজিলের রাজাভাষা পুর্টুগিজে সুন্দর বক্তৃতা প্রদান