আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে, যদিও সুরেশ হিংস্রক পশু বশীকরণ কার্য্যেই শিক্ষিত হইয়াছিলেন বটে, তথাপি তিনি অবসর পাইলেই গণিতশাস্ত্রাদি আলোচনায় নিযুক্ত হইতেন। বস্তুতঃ এই সকল অনুশীলনে তিনি স্বভাবতঃ কেমন আনন্দ অনুভব করিতেন। তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় কথঞ্চিৎ অতিজ্ঞ ছিলেন, অঙ্ক ও অন্যান্য শাস্ত্রেও বিশেষ ব্যুৎপন্ন ছিলেন। এবং লাটীন গ্রীক প্রভৃতি প্রাচীন ভাষায় ও সাহিত্যে সুপণ্ডিত ছিলেন। দার্শনিক তত্ত্ব ও গুপ্তবিদ্যানিচরে তাঁহার সাতিশয় অনুরাগ ছিল, বিশেষতঃ ইন্দ্রজাল ও কিমিয়া বিদ্যায় তিনি সাতিশয় আসক্ত ছিলেন। শীত ও গ্রীষ্মকালে সমধিক রাত্রি জাগরণ করিয়া সুরেশ তাহার সেই ক্ষুদ্র পাঠাগারে বসিয়া অনন্য মনে অধ্যয়নে রত থাকিতেন, অথবা কাচ যন্ত্রাদি ও মুচি লইয়া রাসায়নিক পরীক্ষায় বিব্রত থাকিতেন। নিরত প্রধাবমান কালস্রোত কোথা দিয়া চলিয়া যাইত, জানিতেও পারিতেন না।
ঘটনাক্রমে সুরেশের সহিত একদা স্থানীয় চিকিৎসক-