কন্যার সাক্ষাৎ ঘটে। এই প্রথম সন্দর্শনেই তৎপ্রতি তাঁহার প্রেমের সঞ্চার হয়, কিন্তু উক্ত রমণী তখনও তাঁহার প্রতি আকৃষ্ট হয়েন নাই। অনন্তর যথারীতি তাঁহারা উভয়ে উভয়ের সহিত পরিচিত হইলেন,—তাঁহার পক্ষে উহা বাহুল্য বলিয়া প্রতীত হইল। যাহা হউক, এই পরিচয়ের পর হইতে পথে, শকটে, বিপণীতে, উভয়ের সাধারণ বন্ধুগৃহে প্রভৃতি নানাস্থানে পরস্পরের প্রায়ই দেখা সাক্ষাৎ ঘটিত। ক্রমে ক্রমে তিনি সেই রমণীর প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট হইয়া পড়িলেন, কিন্তু রমণী সে সম্বন্ধে তাঁহাকে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করিতেন না। পরে তিনিই আবার তাঁহার জীবনের গতি পরিবর্তিত ও শূন্য অংশ পূর্ণ করেন।
স্ত্রীলোকেরা সাধারণত কল্পনা বহুল বিচিত্র জীবনের অনুরাগিণী; তজ্জন্যই দেখা যায় যে, সৃষ্টির প্রক্কাল হইতেই তাহারা বীরবিক্রমের পক্ষপাতী। সর্ব্ব জাতির ইতিহাসেই ইহর প্রচুর উদাহরণ দেখিতে পাওয়া যায়। ফলে, রমণীরা স্বয়ম্বরা হইলে অনেক স্থলেই ধনবান্ অপেক্ষা নিঃস্ব ব্যক্তকেই বরমাল্য প্রদান করে,যদি তাঁহার জীবন এইরূপ হয় এবং এইরূপ পরিণয়ে দাম্পত্য প্রেমে চিরসুখিনী হইয়া থাকে। সেই জর্ম্মাণ রজ্জুনর্তকীর কথাই ভাবিয়া দেখুন না,—অভাগিনী এই অপরিচিত, নরভূক্জন্তু সহবাসে আসন্ন মৃত্যুমুখেস্থিত ভারতবাসীর অঙ্কশায়িনী ইবার আশায়, জনৈক বর্দ্ধিষ্ণু ভূম্যধিকারী যুবার অযাচিত পাণিপ্রর্থনা অগ্রাহ্য করিয়াছিল।
যদিও উক্ত চিকিৎসককন্যা প্রথমে সুরেশকে তৎপ্রতি অনুরাগ প্রদর্শনে অণুমাত্রও উৎসাহ প্রদান করেন নাই, কিন্তু