যাহা হউক, এই সম্বন্ধে এ স্থলে অধিক বিস্তারের আবশ্যকতা নাই। বঙ্গগরিমা প্রচারও ইহার উদ্দেশ্য নহে, কিন্তু এ কথা সর্ব্বদা স্মরণ রাখা কর্ত্তব্য, গর্ব্ব ও গৌরব দুইটি স্বতন্ত্র। আর গর্ব্ব দূষিত হইলেও আত্মগৌরব সমাদরের সামগ্রী।
বিদেশীর বিবেচক ব্যক্তিগণ যে বাঙ্গালীকে একেবারেই বুঝেন না, তাহা নহে। মহতের অন্তর কবে মহত্ত্ব ধারণায় অক্ষম। বিদ্বান্ ও মূর্খ, ধীর ও হঠকারী, সাধু ও অসাধু সকল জাতির মধ্যেই আছে। সম্প্রতি ষ্টীভেন্স নামে কোন সাহেব অযাচিত কৃপাবশে বাঙ্গালীর চরিত্র সমালোচনায় আপনার যে পরিচয় প্রদান করিয়াছেন এবং নিশ্চিন্ত নির্ব্বাক না থাকিতে পারিয়া তদুত্তরে মান্যবর ওল্ডহাম সাহেব যে, মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন, আমরা তাহার মর্ম্মার্থ লিপিবদ্ধ করিয়া এই জটিল অপ্রীতিকর সমস্যার উপসংহার করি।
“ষ্টীভেন্স সাহেব বাঙ্গালী জাতির চরিত্রে যে সকল কলঙ্ক আরোপ করিছেন, শূরোচিত কোন কার্য্যে সম্পূর্ণ অক্ষমতাই তন্মধ্যে প্রধান। কি রূপ শৌর্য্যবীর্য্যের কথা ষ্টীভেন্স সাহেবের লক্ষ্য, তাহা বুঝিয়া উঠা অসম্ভব। কিন্তু এ স্থলে তাহার সহিত শ্লীমান সাহেবের মত একবার তুলনা করিয়া দেখা যাউক। আমি সময়াভাবে সেই পুস্তক হইতে অবিকল উদ্ধৃত করিতে পারিলাম না, কিন্তু শ্লীমান বোধ হয় এই মর্ম্মে বলিয়াছেন যে, বীরত্ব শব্দে যদি স্ত্রীজাতির প্রতি সমুচিত সম্মান প্রদর্শন এবং তাহাদিগের রক্ষার জন্য কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার, এমন কি প্রাণপর্য্যন্ত বিসর্জ্জন বুঝায়, তাহা হইলে ভারতবাসিগণের য়ুরোপীয়দিগের নিকট বড় কিছুই শিখিবার নাই। শ্লীমান সাহেব বঙ্গদেশে যতকাল