পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রণবিভাগে।
১৭৫

পারেন, দ্রব লৌহ গলাধঃকরণ করিতেও দ্বিধা করেন না। তিনি সামান্য সৈন্যরূপে প্রবেশ করেন, সৈনিক জীবন সর্ব্বপ্রদেশেই সমক্লেশকর।

 সুরেশ ব্রেজিল সম্রাটের অধীনে সৈন্য নিযুক্ত হইলেন। ব্রেজিলে তখনও এখনকার ন্য়ায় সাধারণ তন্ত্র স্থাপিত হয় নাই। প্রকৃতপক্ষে তিনি সমপদস্থ সাধারণ সৈনিকদিগের অপেক্ষা উন্নত ছিলেন। তিনি সাতটী ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন এবং যদিও প্রাচ্য বা প্রতীচ্য কোন বিশ্ব বিদ্যালয়ে বিদ্যাশিক্ষা করেন নাই তথাপি যে তথাবিধ অধিকাংশ সুশিক্ষিত ব্যক্তি অপেক্ষা শিক্ষিত ছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। তিনি স্বচেষ্টায় নানাবিধ অসামান্য বিদ্যা অর্জ্জন করিয়াছিলেন-সঙ্কটাপন্ন ও শ্রান্তিজনক ক্রীড়াবসানে যে অবসর পাইতেন, সেই সময়টুকু নানা জ্ঞানানুশীলনে অতিবাহিত করিয়া তৎসমুদায়ে বুৎপন্ন হইয়াছিলেন। এতৎসত্বেও জাতি ও বর্ণের জন্য তাঁহার পদোন্নতির অন্তরায় ঘটিল—তাঁহায় সম্বন্ধে ব্রেজিলেও বর্ণপার্থক্য বিষম অপরাধ বলিয়া পরিগণিত হইল! কিয়ৎকাল তাঁহাকে সাধারণ অশ্বারোহী সেনানী নিচয়ের কষ্টসমূহ ভোগ করিতে হইল-স্বহস্তে স্বীয় অপরিচর্য্যা ও শস্ত্র পরিষ্কার করিতে হইত।

 দেখা যায়, ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে তিনি সাণ্টাক্রুজে ক্ষুদ্র এক দল সেনানীয় নায়করূপে কর্পোরাল পদে অধিষ্ঠিত। সাণ্টাক্রুজে সম্রাটের অশ্ব চারণের একটা মাঠ ছিল, কর্পোরাল সুরেশচন্দ্র তথাকার অশ্বরক্ষককদিগের তত্বাবধায়ক নিয়োমিত হয়েন। এই স্থানে তিনি বহু দিবস অবস্থান করেন। এখানে তাঁর বিশেষ কার্য্য ছুিই ছিল না;—পাঠ, রাসায়নি্‌ক পরীক্ষা এবং