পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রণবিভাগে।
১৭৭

কারপত্র ১৮৮৯ সালে ফুরাইল। ইচ্ছা করিলে এক্ষণে তিনি রণ, বিভাগ পরিত্যাগ করিয়া মনোমত অন্য কোনও কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে পারিতেন; কিন্তু এই তিন বৎসর কাল একক্রমে সমর বিভাগে নিয়োজিত থাকিয়া এবং কষ্টকর পদাদি অতিক্রম করিয়া তিনি এই বিভাগে অনুরক্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। এখন আর সহসা একার্য্য পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা হইল না। তিনি অশ্বারোহী সৈন্য হইতে পদাতি শ্রেণীতে পদ পরিবর্ত্তন করিয়া লইলেন এবং অনতিবিলম্বে সেই শ্রেণীর বন্দুক চালাইবার প্রথা ও অন্যান্য কর্তব্যনীতি সর্ব্বথা শিক্ষা করলেন। সুরেশ যদি নির্দ্দিষ্ট তিনবৎসর পরেই সমর-বিভাগ পরিত্যাগ করিতেন, তাহা হইলে জগৎবাসী ব্রেজিল সৈন্যাধ্যক্ষ রূপে জনৈক ভারতবাসীর অসম সাহসিকতা এবং অগণ্য অরাতি সৈন্য বিপক্ষে অদ্ভুত বীরত্ব কাহিনী শুনিতে পাইতেন না। তিনি অন্ত্র চিকিৎসক বা সিংহপালক রূপে কখনই এরূপ ভুবন বিখ্যাত যশোলাভ করিতে বা এরূপ উন্নত পদমর্য্যাদা ও কীর্ত্তিকলাপে বিভূষিত হইতে সক্ষম হইতেন না। কিন্তু জগৎপাতা ইচ্ছাময়ের নির্দ্দেশ যে, তিনি মেকলে প্রভৃতি অন্যান্য প্রাচ্য গ্রন্থকারগণের বাঙ্গালিদিগের কাপুরুষতা সম্বন্ধে শ্লেষবাক্য ব্যর্থ করিয়া নাথেরয়ের বিখ্যাত যুদ্ধে স্বনাম ধন্য হইবেন এবং জগৎ সমক্ষে প্রতীয়মান করিবেন যে, যদিও ইংরাজ রাজা তাঁহাকে অস্ত্রশস্ত্র এনে বিমুখ, তথাপি তিনি মহারাজ্ঞী ও মাতৃভূমির রক্ষার্থে তরবারি ধারণে সম্যক্‌ সিদ্ধহস্ত। বাঙালীমাত্রক ভীরু ও কাপুরুষ নহে। কার্য্যক্ষেত্রে পড়িলে তাহারা বজ্রনাদী কামানের মুখে অবলীলাক্রমে রণভঙ্গে মাতিতে পারে এবং যে কোন দেশের সুদক্ষ