পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নাথেরয়ের যুদ্ধ
১৮৯

ব্রেজিলের রাজপুরুষগণ নিদ্রিত ছিলেন না,—তাঁহাৱা সর্ব্বদাই সতর্ক থাকিয়া দেশ রক্ষা করিতে প্রস্তুত ছিলেন।—সেণ্টক্রূস, বাগ্ন, সানসাকো প্রভৃতি নগরের পার্শ্ববর্তী দুর্গসকল ক্রমান্বয়ে গোলাবৃষ্টিতে ধ্বংসমুখে অগ্রসর হইতেছিল,—কিন্তু তবুও তাহারা ভীত হয় নাই। এতদ্ব্যতীত উভয় পক্ষ হইতেই সৈন্যগণ স্থানে স্থানে সম্মুখীন হইয়া যুদ্ধ করিতেছিল, কিন্তু কোন পক্ষই জয়ী বা পরাভূত হয় নাই।—এইরূপে দিনের পর দিন কাটিয়ে ছিল।

 অবশেষে রণপোতস্থ সেনাগণ নাথেরায় আক্রমণ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইল। প্রথমে ইহার উপর অনর্গল গেলাবৃষ্টি করিয়া পরে একযোগে বহুসংখ্যক সেনা এই ক্ষুদ্র নগর আক্রমণ করিতে প্রেরণ করিল। এই নগর রক্ষার্থে সুরেশ সদলে উপস্থিত ছিলেন। যখন নগরে গোলাবর্ষণ হইতেছিল, তখন তাঁহারা বিশেষ কিছু কৱিতে পারেন নাই,—কেবল যাহাতে তাহাদেয় কামানের গোলা ঠিক জাহাতে গিয়া পড়ে তাহারই চেষ্টা করিতেছিলেন,—অন্য কিছুই করিবার উপায় ছিল না,—কারণ হাতাহাতি সম্মুখ যুদ্ধ না হইলে সুরেশ নিজের সাহস ও নক্ষতা ছুিই দেখাইতে পারিতেছিলেন না,—কিন্তু শীঘ্রই এ সুবিধা ঘটিল।

 যখন বিদ্রোহিগণ কাৰিল যে, নাথেৱায় সম্পূর্ণরূপে ভূমিসাৎ হইয়াছে, তখন তাহারা বিজয়োৎফুল্ল হইয়া বহুসংখ্যক সেনানী জাহাজ হইতে তীরে অবতীর্ণ করাইয়া পশ্চাদ্‌দিক্ হইতে ঐ ক্ষুদ্র নগর আক্রমণ করিতে প্রয়াস পাইল। তখন নাথেরয়র রক্ষর জন্য যাঁহারা নিযুক্ত ছিলেন, তাঁহাদের অবস্থা