অবস্থিত ছিল, সেই দিকে বিপুল বিক্রমে আক্রমণ করিলেন। অন্ধকারে শত্রুপক্ষীর শত্রুগণ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল “তোমরা কে?” সুরেশ বীরদর্পে উত্তয় দিলেন, “আমরা ব্রেজিল দেশীয় সাধারণ তন্ত্রের বীরসেনানী।” “অস্ত্র পরিত্যাগ কর অথবা মৃত্যুমুখে পতিত হও,” এই বলিয়া বিদ্রোহী সেনানীগণ গর্জ্জন করিয়া উঠিল। সুরেশ তখন সদর্পে উত্তর করিলেন, “সাধারণ তন্ত্রের বীরসেনানী অস্ত্র পরিত্যাগ কাহাকে বলে তাহা জানে না” এবং নিজের সৈন্যগণের সম্মুখীন হইয়া আপন মন্তকস্থ উষ্ণীষ ঘুরাইতে ঘুরাইতে তাহাদিগকে উৎসাহিত করিয়া ক্ষিপ্ত সিংহের নায় শত্রুগণকে বিপুল বিক্রমে আক্রমণ করিলেন। কিন্তু তাহারা এরূপ ভীষণ ভাবে গুলি চালাইতে লাগিল, সুরেশের সৈন্যগণ সেই আক্রমণের বিপক্ষে আর বুঝি তিষ্ঠিতে পারে না। তাহার আর অগ্রসর হইতে সাহসী হইল না, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া দাঁড়াইয়া ছিল, এবং প্রায় পশ্চাৎপদ হইবার উপক্রম করিল, তখন সুরেশ রোষকষায়িতনয়নে নিজ সৈনিকদিগের প্রতি তীব্র দৃষ্টিপাত করিয়া যুদ্ধের সেই মহাঘোর কলরষের উপর অভ্রভেদী স্বরে বলিয়া উঠিলেন, “সঙ্গিগণ, শত্রুগণ নিকটে অগ্নি উদিগরণ করিতেছে, বেজিলের সাহসী সন্তানগণ মৃত্যুভয়ে কখন ভীত নহে, এবং তোমরাও দেখিযে যে, পবিত্রভূমি হিন্দু স্থানের সন্তান কেমন করিয়া এই সকল কামান অচিরাৎ অধিকার করিয়া লইবে; প্রস্তুত হও, অনুসরণ কর।”
সুরেশ উচ্চৈঃস্বরে অনুচরবর্গকে কহিলেন, ‘আমায় অনুসরণ কর।” এবং স্বয়ং শত্রুদল মধ্যে ভীমবেগে প্রবেশ করিলেন। এক্ষণে সুরেশ আর একাকী নহেন, সহচরবর্গও সঙ্গে সঙ্গে