একাকী বেড়াইতেছেন ইতিমধ্যে সুন্দর পরিচ্ছদধারিণী এক রমণী তাহার সম্মুখীন হইল। স্ত্রীলোকটী ভদ্রবংশীয়া বলিয়া বোধ হইল। মৃত ব্যক্তিগণ কোথায় পতিত আছে, ইহাই তাঁহার জিজ্ঞাস্য। স্ত্রীলোকটী বোধ হয়, কোন আত্মীয় ব্যক্তির মৃতদেহ অনুসন্ধান করিতেছিল। তাঁহার সৈন্যগণ যে স্থানে ছিল, তিনি রমণীকে আগ্রহের সহিত তাহারই অদূরবর্তী গোয়স্থানে লইয়া গেলেন। সহসা দুই জন বিদ্রোহী নৌসেনা চন্দ্রালোকোদ্দীপ্ত উলঙ্গ কৃপাণ হন্তে তাঁহাকে আক্রমণ করিল। সুরেশ মুহূর্তমধ্যে কোষ হইতে অসি নিষ্কাসিত করিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিলেন, শত্রুগণ তাঁহার সহিত রণরঙ্গ সামান্য ব্যাপার নহে বুঝিয়া দ্রুত পাদবিক্ষেপে পলায়ন করিল। নিস্তব্ধ রজনীতে সেই জনশূন্য স্থানে তাহাদিগের অনুসরণ করায় বিপদের সম্ভাবনা জানিয়া যখন তিনি প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, তখন তাঁহার নাসিকায় সেই স্থানের দুঃসহ দুর্গন্ধে মস্তক বিঘুর্ণিত হইতে লাগিল এবং তজ্জন্য শরীর এতই অবসন্ন হইয়া পড়িল যে, এক পাও চলিতে না পারিয়া অগত্যা নিকটস্থিত কোন প্রস্তরখণ্ডে বসিয়া পড়িলেন। পরে স্বীয় অবস্থা পর্যালোচনাকালে পদভাগে শৈত্য অনুভব করিলেন। সুরেশ নিজের পত্রে লিখিয়াছেন যে, ঐ শৈত্য যেন চরণ হইতে ক্রমশ বুকে উঠিল; পরে ঠিক যেন সেইরূণ শৈত্য কর্ণে অনুভূত হইল, এবং তাহা মুখের উপর দিয়া ক্রমে বুকে আসিল। তাহার পরে তিনি অবশ ও অচৈতন্য হইয়া শত্রু বাদস্যুর কৃপাপাত্র হইয়া পড়িয়া রহিলেন। এইরূপ অবস্থায় তিন দিন অতিবাহিত হইলে তিনি সংজ্ঞালাভ করিলেন।
ইতিমধ্যেই দুই জন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁহাকে অর্দ্ধ উলাঙ্গা-