পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

কখন আত্মসমর্পণ করে না।” অনন্তর তিনি স্বীয় সৈন্যগণকে উদ্দেশ করিয়া শত্রুগণের দিকে অধিকতর বেগে ধাবমান হইবার জন্য আদেশ করিলেন। শত্রুগণ তাহাদিগের কামান লইয়া তাঁহার গতি রোধ করিবার জন্য অবিশ্রান্ত গোলাবর্ষণ করিতে লাগিল। সুরেশচন্দ্র দণ্ডায়মান হইলেন এবং স্বীয় সৈনিকদিগের প্রতি চাহিয়া বলিলেন, ‘‘সঙ্গীগণ,—শত্রুদিগের রিভলভার-কামান আছে এবং উহা আমাদিগের অতি নিকটে স্থাপিত। আমাদিগের প্রিয়ভূমি ব্রেজিলের বীরপুত্রগণের হৃদয় মৃত্যুকে ভয় করে না, এবং তোমরাও দেখিবে যে, পবিত্র ভূমি হিন্দুস্থানের সন্তান কেমন করিয়া পাঁচ মিনিটকাল মধ্যে উহা অধিকার করিয়া লইবে, অতএব প্রস্তুত হও।” অন্যরা কয়েকবার আনন্দসূচক ‘‘হুরে”-ধ্বনি করতঃ স্বীয় সহচরবর্গকে অনুসরণ করিতে বলিয়া ভীমবেগে সেই শত্রুর কামানের মুখে তিনি অগ্রসর হইলেন। প্রবেশমাত্র বাস্তবিকই তিনি কামানগুলি অধিকার করিয়া লইয়াছিলেন, পরে ভীষণ কাটাকাটি আরম্ভ হইল এবং পরিশেষে তিনিই জয়লাভ করিলেন।

 বিগত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ অবধি তিনি (সুরেশ) আমাদিগের কাছে ছিলেন; কারণ তিনি আমাদিগের পরিবারবর্গের বিশের আত্মীয়। তিনি এক দিন আমাকে বলিয়াছিলেন যে, গতানু হইলে আমি যেন এই মর্ম্মে কলিকাতায় একখানি পত্র লিখি যে, তিনি যেখানে গিয়াছেন সেইখানেই যশস্বী হইয়াছেন, এবং যেন তাঁহার পুত্র তাঁহার কীর্ত্তি ও যশের কাহিনী জানিতে পারে এবং পিতার উপযুক্ত পুত্র হইয়া তৎপথ অনুসরণ করিতে যত্ন পায়। তিনি নব বিবাহিত পত্নী ও ১৬ মাসের একটী পুত্রকে