পরিশিষ্ট
লেফ্টেন্যাণ্ট সুরেশচন্দ্র বিশ্বাস—কলিকাতায় তাঁহার পিতৃব্যকে অনেক পত্র লিখিয়াছিলেন তন্মধ্যে কতকগুলি হারাইয়া গিয়াছে কিন্তু যে গুলি আমাদিগের হস্তগত হইয়াছে, নিম্নে তৎসমস্ত উদ্ধৃত হইল—
[১]
সেণ্টক্রুজ, ৮ই ফেব্রুয়ারী ১৮৮৭।
প্রিয় পিতৃব্য মহাশয়;—উপরে সেণ্টক্রুজ ঠিকানা দেখি বুঝিতে পারিবেন যে, আমি আর এক্ষণে রাইয়ো ডি-জেনিরোতে নাই, কারণ আমি তথা হইতে এখানে বদ্লি হইয়াছি। এই সেণ্টক্রুজ ক্ষুদ্র গ্রাম, পূর্ব্বে অর্থাৎ কয়েক বৎসর পূর্ব্বে ইহা ব্রেজিলদেশীয় সম্রাটের নিজস্ব সম্পত্তি ছিল এবং তদীয় ক্রীতদাস গণ কর্ত্তৃক উহার আবাদ হইত, কিন্তু তাঁহার সেই সুবিখ্যাতকারুণ্যবশতঃ তাহাদিগকে মুক্তি প্রদান করিবার পর হইতে এই স্থান নিতান্ত পরিত্যক্ত অবস্থায় পতিত হইয়াছে এবং এক্ষণে কেবল ইহা গোচারণের মাঠ মধ্যে গণ্য। আমি এক্ষণে অশ্বারোহী সৈনিক শ্রেণীভূক্ত এবং এই সামরিক পদে অশ্বাদির