এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লেফ্টেন্যাণ্ট
সুরেশ বিশ্বাস।
প্রথম পরিচ্ছেদ।
আনুসঙ্গিক কথা।
কোন জাতির সভ্যতার পরিমাণ করিতে হইলে, স্বতই মনে উদয় হয়, সভ্যতার পরিমাণদণ্ড কোথায়? জনগৌরবে, ধনাধিক্যে না বীরবিক্রমে অথবা এইগুলির সমবায়ে? শারীরিক বলে না মানসিক গুণে? বিশাল জগতে যতগুলি জটিল সমস্যা আছে, ইহাও তন্মধ্যে একটি। তবে অনেকেই হয়ত অস্বীকার করিবেন না, শারীরিক বল মানবের একটি শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হইলেও সভ্যতার সহিত উহার তত ঘনিষ্ট সম্পর্ক নাই, উহা সভ্যতাবৃদ্ধির কোন উপায় বা উপকরণ হইতে পারে কিন্তু সভ্যতা নহে। সিংহ ব্যাঘ্রাদি পশু ও মহাবল দুর্দ্দান্ত বর্ব্বর বন্যজাতিকে সভ্য বলা যায় না।