গাথা, যেন এক বৃন্তে দুইটী ফুল। স্বাধীনতার বিমল বিভা ব্যতীত তাহা কোনক্রমেই স্ফূর্তি পাইতে বা বিকশিত হইতে পারে না। এক্ষণে একটি প্রশ্ন উঠিতে পারে, এখনই যেন স্বাধীনতা বিলুপ্ত হইয়াছে, হিন্দু স্বাধীনতার সময়েই ইহার শিল্প বাণিজ্য কিরূপ উন্নতি লাভ করিয়াছিল? তদুত্তরে আমরা এই মাত্র বলিব, সত্যতা প্লাবিত বর্ত্তমান যুগের শিল্প বাণিজ্য বিজ্ঞানোন্নতি আধুনিক সভ্য জাতিদিগের চিরন্তন সম্পত্তি নহে। অন্যান্য দেশে কালে যাহা ঘটিয়াছে বঙ্গের ভাগ্যেও যে, তাহা কোনক্রমেই ঘটিত না, কোন যুক্তিবলে তাহা স্বীকার করিব? প্রাচীন কবির বর্ণনার পুরাতন নগরীব ভগ্নাবশেষে, এবং প্রস্তর লিপিতে বঙ্গ সভ্যতার জ্বলন্ত প্রমাণ রহিয়াছে, সেই প্রাচীন কালেও তাহারা বৃক্ষের বল্কশ পরিত না, অপক্ক ও অস্পৃশ্য আহারে রসনা পরিতৃপ্ত করিত না, যথেচ্ছবিহারী পশুর ন্যায় স্বজাতি বা হীনজাতির নিধন সাধন করিয়া আপনার পশু প্রকৃতির পরিচয় প্রদান করে নাই। শিল্প বাণিজ্য যে লক্ষ্মীলাভের প্রধান উপার, তাহা বঙ্গবাসীরা সেই প্রাচীন কালেও বুঝিত। কিন্তু ইহাও তাহাদের প্রাণে গাঁথা ছিল, শিল্প বাণিজ্য সম্পদ্ বৃদ্ধির প্রধান সাধন, কিন্তু সম্পদ্ সভ্যতা নহে। আর বিজ্ঞানে! চারিদিকেই ধূয়া—বিজ্ঞানে বঙ্গ রা ভারতবাসী চিরকালই হীন। বিজ্ঞান বলিতে তাঁহারা কি বুঝেন, বলিতে পারি না। সমুদ্রবক্ষে সচ্ছন্দে বিহারোপযোগী রাষ্পীর পোত, দ্রুতগামী বাষ্পীয় যান, ও তাড়িত বার্ত্তাদি দেখিয়া যদিও তাঁহাৱা বঙ্গবাসীকে বিজ্ঞানান্ধ বলেন, তাহা হইলে আমরা বলিব, তাঁহাদের প্রাচীন রোম বিজ্ঞানান্ধ ছিল। সুধু প্রাচীন রোম বা গ্রীস কেন, দুই তিন শতাব্দী পূর্ব্বে জগতের সকল
পাতা:লেফ্টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আনুসঙ্গিক কথা
৫