ভূমিকা।
বীর, কবি বা সাধু সদাশয়গণ সর্ব্বদেশে সমাদৃত। তাঁহারা চলিয়া যান, সংসার তাঁহাদের কীর্ত্তিকাহিনী বুকে করিয়া রাখে। বুকে করিয়া আপনি ধন্য হয়; কেন-না মাটীর পৃথিবীতে অমর সন্তানের জন্ম, মহা গৌরবের কথা।
সুধু গৌরবের কথা নহে,—পরম প্রয়োজনীয়; পৃথিবীর শান্তিতৃপ্তি উন্নতি উৎসাহের অনন্ত উৎস। এই অভাবকঠিন মলিন মর্ত্ত্যের অনন্ত পথের অনন্ত যাত্রীসম্প্রদায় যখনই পৃথিবীর দিগন্তপ্রসারী ধূলিরাশির মধ্যে দিগ্ভ্রান্ত হইয়া যায়, তখনই ইতিহাস বা জীবনচরিত সেই ধূলি জঞ্জাল সরাইয়া অঙ্গুলি নির্দ্দেশ করিয়া বলে, ইঁহারা কেমন শান্তিসরিতে পৃথিবীর ধূলিরাশি সরাইয়াছেন,—ইঁহারা কেমন ধূলিরাশি সরাইয়া অচল অটল মহিমা মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন।
ইঁহারাও পৃথিবীতে দুই দিনের জন্য আসিয়াছিলেন, কিন্তু ইতিহাস জীবনচরিতে তাঁহাদিগকে চিরদিনের করিয়াছে। এমন চিরসঙ্গী পাইলে, এমন দুর্ভাগ্য কে আছে যে, আপনাকে নিতান্ত নিঃসহায় মনে করে।