পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবদ্বীপ ও নবদ্বীপবাসী।
১৫

সকলেই সেই প্রেমময়ের প্রেমসুধাপানে তুল্য অধিকারী। এখন শাক্ত বৈষ্ণবের দ্বন্দ্ব একটা বীভৎস ব্যাপার হইয়া দাঁড়াইয়াছে, কিন্তু চৈতন্যদেব স্বয়ং সেই ভেদজ্ঞান বিদূরণের জন্য কি রূপ ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, আমরা শ্রীচৈতন্যভাগবত হইতে তাহার একটু আভাস দিব। শ্রীচৈতন্যদেব এক দিন বলিলেন,

 “প্রকৃতি স্বরূপে নৃত্য হইবে আমার।” চৈতন্যদেব প্রকৃতিবেশে নৃত্য করিতে লাগিলেন।

 চৈতন্যদেব যখন প্রকৃতিবেশে নৃত্য আরম্ভ করিলেন, তখন তাঁহার ভক্তগণও তাঁহাকে চিনিতে পারিল না।

 তখন—

কেহ নারে চিনিতে ঠাকুর বিশ্বম্ভর।
হেন অতি অলক্ষিত বেশ মনোহর॥
নিত্যানন্দ মহাপ্রভু প্রভুর বডাহ।
তাঁর পাছে প্রভু আর কোন চিহ্ন নাই॥
অতএব সবে চিনিলেন প্রভু এই।
বেশে কেহ লখিতে না পারে প্রভু সেই॥
সিন্ধু হইতে প্রত্যক্ষ কি হইল কমলা।
রঘুসিংহ গৃহিণী কি জানকী আইলা॥
কিবা মহালক্ষ্মী কিবা আইলা পার্ব্বতী।
কিবা বৃন্দাবনের সম্পত্তি মূর্ত্তি সতী॥
কিবা ভাগীরথী কিবা রূপবতী দয়া।
কিবা সেই মহেশমোহিনী মহামায়া॥
এই মত অন্যোহন্যে সর্ব্ব জনে জনে।
চিনিয়া প্রভুরে আপনা সেই মানে॥