চতুর্থ পরিচ্ছেদ
বাল্য ঘটনা
বালকের অস্ফুট জীবনে ভবিষ্যৎ জীবনের অনেকটা আভাষ পাওয়া যায়। বালকের হাসি কান্না ও খেলা ধূলার মধ্যে যে বিশেষত্বটুকু থাকে, তাহা সকল সময়ে সকলে বুঝিয়া উঠিতে পারেন না বটে কিন্তু বিশেষ প্রতিকূলতা না ঘটিলে কালে তাহা পরিস্ফুট হইয়া উঠে। ছায়া দেখিয়া কায়া নির্ণয় সহজ ব্যাপার নহে।
সুরেশচন্দ্রের সেই সুকুমার শৈশবে যে বিশেষত্বের আভাস পাওয়া যায়, এক্ষণে তাহা পরিস্ফুট বা পরিব্যক্ত কিন্তু বালকের সেই অস্থিরতা, অসাধারণ দুঃসাহস ও সহ্যগুণ তখন কয়জনের হৃদয়ে অঙ্কিত করিয়াছিল যে, সেই বালসুলভ প্রকৃতির গুঢ় বিকাশেই বর্ত্তমান পরিণত।—বীজের অভ্যন্তরে যেরূপ গুপ্ত অগোচর অন্তর্শক্তি নিহিত থাকে, মনুষ্য প্রকৃতি পর্য্যালোচনা করিলেও তাহার সুস্পষ্ট আভাস পরিলক্ষিত হয়।
বাল্যকাল হইতেই সুরেশচন্দ্রের জীবনে লক্ষিত হইবে, তিনি অকুতোভয় এবং অপূর্ব্ব সহনশীল; প্রত্যেক ঘটনায় তাহা অল্পাধিক পরিব্যক্ত। বালকের অগ্নিশিখা দর্শনে আনন্দোচ্ছ্বাস