তর্জ্জন গর্জ্জন ও অপূর্ব্ব প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রকৃতই সুকৌশলসম্পন্ন কুকুরটী প্রথমে যেন কৌতুকচ্ছলে একটী বিড়ালকে আক্রমণ করিল। কিন্তু যখন চীৎকার ও গর্জ্জন করিতে করিতে পূর্ণ বিক্রমে সেই ক্ষুদ্রকায় তীক্ষ্ন-নখর-দশন বিড়ালের উপর আপতিত হইল, তখন তাহার প্রতিদ্বন্দ্বিতার লেজ গুটাইয়া হটিতে হইল। কিয়ৎপরে আবার পূর্ণবলে যেমন আক্রমণ, অমনি বিড়ালের নখরাঘাতে পশ্চাদ্বর্ত্তন। আমরা কৌতুহলী হইয়া সেই বিষম বিরোধ দেখিতে ছিলাম; কেহ কেহ বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য উভয়কেই নিবৃত্ত করিবার উদ্যোগ করিতেছিলেন; কিন্তু আমরা কৌতুহলী হইয়া তাঁহাদিগকে নিবৃত্ত করিয়া বলিলাম, এই উদ্যোগ হইতে বিরত হউন, যুদ্ধকাণ্ডটাই দেখা যাক্। প্রায় অর্দ্ধঘণ্টাকাল সেই সমবেত দর্শকমণ্ডলীর সম্মুখে সেই তর্জ্জন গর্জ্জন লম্ফন কুণ্ডলন চলিতে লাগিল। অবশেষে কুকুরের মুখ ও গ্রীবাদেশ ক্ষত বিক্ষত হইলে সে রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল। বিড়ালটী তখন পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বীর পশ্চাদনুসরণ করিল না বটে, কিন্তু বিজয় লাভে লাঙ্গুল ফুলাইয়া বিজয়নাদ করিতে করিতে অপূর্ব্ব গৌরবভরে আপন বিজয়ানন্দ প্রকাশ করিতে লাগিল।
যাহা হউক, একদিন একটি প্রকাণ্ড বিড়াল একটী বিল্ববৃক্ষে উঠিয়া একটি কাঠবিড়াল শিকার করিয়া ভূমিতলে আনয়ন করে। কাঠবিড়ালীর ক্ষীণপ্রাণ তখনও শেষ হয় নাই বটে, কিন্তু তখন গ্রীবাদেশে রক্তধারা,জীবনমাত্র অবশিষ্ট আছে। বিড়ালটী লাঙ্গুল কুণ্ডলিত করিয়া উহার বক্ষে বসিয়া আছে এবং উহার সামান্য শরীর সঞ্চালনাদি দেখিলেই তীক্ষ্ন নখরাঘাতে তাহার পরিশেষ করিতেছে। বিড়ালটা যখন এইরূপে