ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।
বালকের প্রকৃতি।
বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সুরেশচন্দ্রের শৈশবকৃতি পরিপুষ্ট ও পরিস্ফুট হইতে লাগিল। নিতান্ত শিশুকালের সেই অস্থিরতা ও নির্ভীকতা এখন সমধিক বিকশিত হইয়াছে। ইতিহাস পাঠকদিগের অবিদিত নাই, সুপ্রসিদ্ধ মহারাষ্ট্রীয় প্রভুত্ব স্থাপয়িতা শিবাজী, দাদাজীর মুখের দিকে সতৃষ্ণনয়নে অতুল আগ্রহভরে কি রূপে ভারতকথা শুনিতেন, এবং সেই অতুল বীরকাহিনী কি রূপে বালকের ভবিষ্য জীবন গঠিত করিয়াছিল। আমাদের সুরেশচন্দ্রও সেইরূপ বিবিধ বীরবিক্রম, দুর্গাধিকার, দেশবিজয় বা রণরঙ্গকাহিনী শুনিতে বড়ই ভাল বাসিতেন। বালক পুস্তক স্পর্শ করিবে না, শ্লেট ধরিবে না, কিন্তু মহাভারত বা রামায়ণের বীরত্ব ইতিহাস পরমাগ্রহে শ্রবণ করিবে। সুধু শ্রবণ নহে, অর্জ্জুনের অপূর্ব্ব বীরকীর্ত্তি, ভীষ্মের ভীষণ প্রতিজ্ঞা, রামচন্দ্রের দুর্জ্জয়শত্রু রাবণসংহার প্রভৃতি বালকের মর্ম্মে মর্ম্মে গাঁথা থাকিত। শত্রু সাগরের মধ্যে বিবিধ প্রতিকূল ঘটনায় যখন তাঁহাদের বীরত্ব কাহিনী শ্রবণ বা স্মরণ করিত, বালকের হৃদয় আনন্দে উথলিয়া উঠিত; চক্ষুতে অপূর্ব্ব জ্যোতি প্রকাশিত হইত। কেবল পৌরাণিকী বীরকাহিনী যে, সুরেশচন্দ্রের প্রীতি-