সপ্তম পরিচ্ছেদ।
সর্প ও সুরেশ।
এইবার আমরা যে ঘটনার উল্লেখ করিতেছি, সহস্রের মধ্যে একজনও এরূপে আত্মরক্ষা করিতে পারে কি না সন্দেহ! বিশেষতঃ সেই একাদশ বৎসর মাত্র বয়সে তাহার সাহস ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের উদাহরণ নিতান্ত বিরল।
সুরেশ কলিকাতা হইতে স্বদেশে ফিরিয়াছেন। স্বদেশের মুক্ত বায়ুতে বিমুক্ত হৃদয়ে অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা মিটাইতেছেন। নগরের নির্জ্জীবতা বা বিলাসিতা বালকের হৃদয়ে প্রবেশ করে নাই। তিনি সেই বাল্যের সদা চঞ্চল, অসমসাহসী অকুতোভয় নাথপুরের সুরেশচন্দ্রই আছেন। একদিন পক্ষীয় অনুসন্ধানে বাহির হইয়া একটী আম্রবৃক্ষের উপর কতকগুলি পক্ষীর বাসায় সুরেশচন্দ্রের দৃষ্টি পড়িল। আর বিলম্ব কেন? সুরেশচন্দ্র বৃক্ষে উঠিলেন। বৃক্ষে উঠিবেন, তাহাতে আবার সাবধানতা বা ভয় কি? একমাত্রপতনের আশঙ্কা,—সুরেশচন্দ্রের হৃদয়ে তাহার স্থান নাই। এখন ত ১১ বৎসর বয়স হইয়াছে।
সুরেশচন্দ্র পক্ষী নীড়ের নিকট হস্ত প্রসারণ করিবেন, এমন সময়ে অদূরে কিঞ্চিৎ নিম্নে একটী বিকট শব্দ শুনিতে পাইলেন।