অষ্টম পরিচ্ছেদ।
আর এক বিপদ
বঙ্গে অস্ত্র আইনের কল্যাণে ভারতবাসী যা ভারতগবর্ণমেণ্টের যতদূর উপকার হউক আর নাই হউক, ইংরাজ রাজ্যে শৃগাল কুক্কুরাদির কিছু প্রতাপ প্রাদুর্ভাব ঘটিয়াছে। এক একটী ক্ষিপ্ত শৃগাল বা কুকুর অন্ততঃ ১০।১২টী প্রাণী সংহার না করিয়া মারা পড়ে না। এবং তাহার বিক্রমে কিয়ৎকাল গ্রামের লোক সদাই সশঙ্ক থাকে। এইরূপ বিপদ্পাতে গবর্ণমেণ্টের সাহায্য প্রার্থনাও লজ্জার বিষয় এবং সাহায্য প্রার্থনায় হয়ত অনেকে সাহসী হয় না এবং সাহায্য প্রার্থনা করিলেও স্থান বিশেষে প্রার্থনা পূরণের পূর্ব্বেই কতকগুলি প্রাণীকে অকালে শৃগাল কুকুরের মুখে জীবন হারাইতে হয়।
সুরেশচন্দ্র নাথপুরের বাটী গিয়াছেন। গ্রামে ক্ষিপ্ত কুকুর ভয়ে লোকে সদাই শঙ্কিত, কখন কাহার ভাগ্যে কি দুর্ঘটনা ঘটে। তখন পাস্তূর প্রণালী প্রচলিত হয় নাই এবং দরিদ্র নাথপুরবাসিগণের এরূপ অবস্থা ছিল না যে, বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার জন্য প্যারিস পর্যন্ত যাইয়া পাস্তূরের প্রস্তুত ঔষধাদি সেবন করে। সুতরাং ভগবানের নাম করিয়া সামান্য দেশীয় প্রলেপা-