পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আর এক বিপদ।
৪১

দির উপরই নির্ভর করিতে হইত। সে যাহা হউক, শৃগাল কুকুরের ভয়ে বাটি আসিয়া গৃহকোণে বসিয়া থাকা সুরেশ চন্দ্রের পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু বিষমভয়ে সঙ্গীসহচরগণও সর্ব্বদা সঙ্গে থাকিত না। সুরেশচন্দ্রকে একাকী সন্ধ্যা সমীরণ সেবন করিতে যাইতে হইত। গ্রামের প্রান্তভাগের একটী পথ ধরিয়া চলিতেছেন, এমন সময়ে একটী ক্ষিপ্ত কুকুর তাঁহার দিকে দৌড়াইয়া আসিতেছে দেখিলেন। তিনি একাকী, হস্তে ধষ্টি পর্য্যন্ত নাই, নিকটে লোকালয় নাই। এমন কি বৃক্ষ পর্য্যন্ত নাই। সুরেশচন্দ্র অগত্যা সেই পথ ধরিয়া ধূলি উড়াইয়া দৌড়িতে আরম্ভ করিলেন। কুকুরও দ্রুতবেগে তাঁহার অনুসরণ করিল। মধ্যে মধ্যে পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখেন, কুকুরটী জিহ্বা বাহির করিয়া লক্‌ লক্‌ করিতে করিতে তাঁহাকেই লক্ষ্য করিতেছে। তিনিও ছুটেন, কুকুরও ক্রমশঃ তাহার অনুসরণে নিকটবর্ত্তী হইয়া আসিল। ছুটিতে ছুটিতে বালক ক্লান্ত হইয়া পড়িল; আর দৌড়াইতে পারে না। এইবার কুকুরের মুখে পড়িতে হইল; আর অব্যাহতি নাই। কিন্তু প্রত্যুৎপন্নমতি সুরেশচন্দ্র সেই দারুণ বিপদ্‌কালেও ভয়বিহ্বল না হইয়া মুহূর্ত্ত মধ্যে আপনার কর্ত্তব্য স্থির করিয়া লইলেন। সুরেশচন্দ্র আর দৌড়াইতে পারিলেন না, কুকুরটী আসিয়া পড়িল, আর দুই চারিপদ মাত্র অগ্রসরহইয়া আসিলেই তীক্ষ্ন দশন নখরে বালকের সুকুমার শরীর ক্ষত বিক্ষত করে। সুরেশচন্দ্র কলিকাতা অবস্থান কালে “জোড়া পায়ে লাথি’’ অভ্যাস করিয়াছিলেন। সেই সময়ে কিছুদিন কলিকাতায় উহার বড়ই প্রচলন হয়। সুরেশচন্দ্র সহসা দাঁড়াইলেন এবং কাল বিলম্ব না করিয়া পূর্ণ শক্তিতে কুকুরটীকে জুতাশুদ্ধ ‘‘জোড়া