এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
লেফ্টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস
পায়ের লাথি’’ মারিলেন। বিষম বেগে আসিতে আসিতে আকস্মিক প্রহারে কুকুরটী পথিপার্শ্বস্থ নালায় গড়াইয়া পড়িল। সুরেশচন্দ্র ইত্যবসরে একখানি ইষ্টক সংগ্রহ করিয়া কুকুরটী উঠিতে না উঠিতে উহার মস্তকে প্রহার করিলেন। সেই অব্যর্থ সন্ধানেই কুকুটীকে আর মাথা তুলিতে হইল না, পথি পার্শ্বস্থ সেই নালায় গড়াইতে গড়াইতে সে পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হইল। এইরূপে একাদশবর্ষীয় বালকের দ্বারা নাথপুর গ্রামের সাময়িক শঙ্কা বিদূরিত হইল। সেই সঙ্কটকালে একাদশবর্ষ মাত্র বয়সে যিনি নাথপুরের একটী বিষম আশঙ্কা বিদূয়িত করেন, পরিণত বয়সে তাহার দ্বারা যে নাথপুরের গৌরব সমধিক বর্দ্ধিত হইবে তাহাতে আর সন্দেহ নাই।