পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।
৪৫

ফেলিতেন। এরূপ শিকার এখনও ইংরাজগণ সময় সময় করিয়া থাকেন। এদেশ হইতে বহু দূরে বিদেশে ভিন্ন জাতিদিগের মধ্যে নির্ব্বাষিতরূপে বাস করিয়া ইহারা সময় সময় এইরূপ শিকারে কালযাপন করিয়া কতকটা নির্ব্বাষণের ক্লেশ অপনোদন করিয়া থাকেন।

 যখন সুরেশ নাগপুরে বাস করিতেছিলেন, সেই সময়ে এক দিন তিন জন সাহেব গ্রামের নিকট শিকারার্থে অশ্বারোহণে আসিলেন। সঙ্গে অসংখ্য কুক্কুর, উহারা একটা অতি হিংস্র বৃহৎ বন্য বরাহের পশ্চাৎ ধাবিত হইয়াছে। বরাহ প্রাণভয়ে ইতস্ততঃ পলাইতেছে; শিকারীগণ কোনমতেই তাহাকে বর্ষা বিদ্ধ করিতে পারিতেছেন না। প্রায় সন্ধ্যা হয়, শিকারীগণ হতাশ হইয়া অদ্যকার জন্য শিকার পরিত্যাগ করিয়া গৃহে প্রত্যাগমনের অভিপ্রায় করিতেছেন, এমন সময়ে তাঁহাদের দৃষ্টি নিকটস্থ বাঁশঝোপের মধ্যে বরাহের প্রতি পতিত হইল। অমনি বন্দুকের আওয়াজে চারিদিক প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল, কুকুরগণ ডাকিয়া উঠিল, চারিদিকে যেন এক ঘোর আলোড়ন উপস্থিত হইল। কিন্তু বরাহ আহত হইল না, তবে বন্দুকের শব্দে সে ভীত হইয়া বাঁশঝোপ পরিত্যাগ করিয়া ছুটিল। সম্মুখে বিস্তৃত মাঠ, ভীত ও বিপন্ন বরাহ এক্ষণে সেই মাঠ দিয়া প্রাণপণে ছুটিয়া চলিল; শিকারীগণও সঙ্গে সঙ্গে অশ্বপৃষ্ঠে ছুটিলেন, বরাহের পশ্চাতে কুকুরগণ মহা চীৎকার করিতে করিতে ধাবিত হইল।

 যেদিকে বরাহ ছুটিয়াছে, সেইদিক হইতে এমত সময়ে তিনটী বালক গ্রামের দিকে আসিতেছিল, ইহাদের একটী সুরেশ। বালকগণ মাছ ধরিতে গ্রাম হইতে দূরবর্ত্তী স্থানে