পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শিকার ও সুরেশ।
৪৯

লেন,—কিন্তু সাহেবেরা কিছুতেই ছাড়েন না। একজন বলিলেন, “তুমি আমাদের সঙ্গে কুঠিতে চল। আজ রাত্রে সেখানে থাকিয়া কাল সকালে বাড়ী আসিও।”

 সুরেশ উত্তর করিলেন, “আমার মা ও খুড়ো মশায় কি ভাবিবেন? আমি রাত্রে বাড়ী না ফিরিলে তাঁহারা পাগল হইবেন।’’

 সাহেব। সে জন্য কোন চিন্তা নাই। তাঁহারা যাহাতে খবর পান, তাহা আমরা করিব। তোমার আত্মীয়েরা যাহাতে ভাবিত না হন সে বিষয়ে আমরা দৃষ্টি রাখিব।

 সুরেশ। আমার ক্ষুধা পাইয়াছে। আপনাদের বাড়ী খেলে আমার জাত যাবে।

 সাহেবেরা হাসিয়া উঠিলেন,—বলিলেন, “বালক, তোমার জাতের এত ভাবনা? জাতের বিষয় তুমি কি জান?’’

 সুরেশ উত্তর করিলেন, “বোধ হয় জাতের বিষয় বেশী কিছু আমি বুঝি না, তবে সাহেবের বাড়ী খেলে যে জাত যায়, তাহা আমি জানি।”

 সাহেব। তুমি এই নাথপুরেই সব সময় বাস কর?

 সুরেশ। না, আমি সচরাচর কলিকাতায় বাস করি, আমি ভবানীপুরের লণ্ডন মিশন কলেজে পড়ি।

 সাহেব। ওঃ তবেত তুমি অর্দ্ধেক খ্রীষ্টান। খ্রীষ্টানদের সঙ্গে যাহারা মিশে, তাহারা খ্রীষ্টান না হলেও পিরিলি হয়।

 আমি তা স্বীকার করি না। আমি খ্রীষ্টানের ছোঁয়া জল খাই না, এমন কি পানও খাই না।

 সাহেব। তুমি তাহাদের সঙ্গে এক সঙ্গে উঠাবসা কর, তুমি