পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
লেফ‍্টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

তাঁহাকে যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া কোন গতিকে প্রাণ বাঁচাইয়া ভাসিয়া চলিলেন; —কিন্তু সেই ঝটিকা মধ্যে তাঁহারা উভয়ে বহুক্ষণ একত্রে থাকিতে পারিলেন না; —সুরেশ ও তাঁহার সঙ্গী ঝটিকাবেগে দুই জন দুই দিকে গিয়া পড়িলেন। তিনি দেখিলেন তাহার সঙ্গী ক্লান্ত হইয়া তাঁহার সম্মুখে জলমগ্ন হইলেন। তিনিও ক্রমে ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন, —কিন্তু অতি কষ্টে তিনি নিজেকে কেবল জলের উপর ভাসাইয়া রাখিয়া প্রাণ রক্ষা করিলেন।

 তিনি একখানি জারমান জাহাজের পাশ দিয়া ভাসিয়া যাইতেছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে সেই জাহাজস্থ একজন নাবিক তাহাকে দেখিতে পাইলেন। তাঁহার বিপদ বুঝিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ একগাছা দড়ি তাঁহার দিকে ফেলিয়া দিল;—সুরেশ দড়িটী দেখিতে পাইলেন ও তৎক্ষণাৎ অনেক কষ্টে দড়িটী ধরিলেন। কিন্তু তিনি নিতান্তই ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন;—দড়ি বহিয়া জাহাজে উঠিতে গিয়া আবার জলে পতিত হইলেন। জাহাজের কাপ্তেন তাঁহাকে এইরূপে বিপন্ন দেখিয়া অনতিবিলম্বে জাহাজের জালিবোট নামাইয়া দিলেন; —ততক্ষণে সুরেশ আরও বহু দূরে ভাবিয়া গিয়াছিলেন,—বহু কষ্টে নৌকাস্থ নাবিকগণ তাঁহাকে অর্দ্ধ মৃত অবস্থায় টানিয়া তুলিল। তিনি যখন জাহাজে নীত হইলেন, তখন তাঁহার একবারেই সংজ্ঞা ছিল না। জাহাজের ডাক্তারের বিশেষ যত্নে নানা রূপ চিকিৎসায় পর দিবস সুরেশের সংজ্ঞা হইল, —তখন জাহাজস্থ কাপ্তেন একখানি গাড়ী নিয়া লোক সঙ্গে দিয়া তাঁহাকে বাড়ী পাঠাইয়া দিলেন। বলা বাহুল্য তাঁহার অনুপস্থিতিতে তাঁহার জনক জননী বিশেষ