মিশনারী সাহেবদিগের বাসের জন্য রাজপ্রসাদ সদৃশ অট্টালিকা সকল নির্ম্মিত হইল। যাঁহারা ভারতবাসীকে উদ্ধার করিবার জন্য মিশনারী হইয়া আসিতে লাগিলেন,—তাহাদের স্বদেশীয়গণ তাহাদিগকে স্বার্থ ত্যাগের উজ্জ্বলতম আদর্শ মনে করিতে লাগিলেন। দূর ভারতে,—উষ্ণ প্রধান ভারতবর্ষে কৃষ্ণমূর্ত্তি বিধর্ম্মীদিগের মধ্যে বসবাসে না জানি এই সকল মহাত্মার কত কষ্ট হইবে; এই ভাবিয়া দেশের লোক যাহাতে তাঁহাদের কোন কষ্ট না হয় সে জন্য মুক্তহস্তে অর্থ প্রদান করিতে লাগিলেন। জগতের লোক বুঝিল যে, ইংরাজগণ স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভারত গ্রহণ করেন নাই,—ভারতবাসীকে উদ্ধার করিবার জন্য তাঁহারা এ দেশে আসিয়াছেন,—ভারতের মঙ্গল সাধনই তাঁহাদের একমাত্র অভিপ্রায়।
প্রথমে তাঁহারা ভারতবাসীকে খ্রীষ্টান করা অপেক্ষা তাহাদিগকে ইংরাজী শিক্ষায় শিক্ষিত করিবার জন্য প্রয়াস পাইতে লাগিলেন। তাহাদিগের কৃতজ্ঞতা পাইবার জন্য তাহাদের পীড়ার ঔষধ দিতে থাকিলেন। তাঁহারা ভাবিয়াছিলেন, ইংরাজী শিক্ষাবলে যখন তাহাদের সহস্র বৎসরব্যাপী কুসংস্কার, পুত্তলিকা পূজা, আচার ব্যবহার নষ্ট হইবে;—তখন খ্রীষ্টিয়ধর্ম্মে তাহাদিগকে দীক্ষিত করিতে আর অধিক ক্লেশ পাইতে হইবে না। এই জন্য তাঁহারা দাতব্য চিকিৎসালয় ও বিদ্যালয় স্থাপন করিতে আরম্ভ করিলেন। এদিকে দেশ ইংরাজের হইয়াছে। রাজার সমস্ত কার্য্যই রাজভাষায় সম্পন্ন হয়, এরূপ স্থলে দেশের লোকের ইংরাজী না জানিলে উপার্জ্জন হয় না,—কোন কার্য্যই চলে না। কাজে কাজে দলে দলে এ দেশের বালকগণ মিশনারীদিগের