পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রাম্যসাহিত্য > o \2 শুন গৌরী, কৈলাসপুর তুচ্ছ তোমার ঠাই। দেখছি তোমার কাঙাল পিতার ঘর-দরজা নাই। শেষ দুইটি ছত্ৰ বুঝিতে একটু গোল হয়। ইহার অর্থ এই যে, তোমার বাসের পক্ষে কৈলাসপুরীই তুচ্ছ, এমন স্থলে তোমার কাঙাল পিতা তোমাকে স্থান দিতে পারেম এমন সাধ্য র্তাহার কী অাছে ! পতিকে লইয়া পিতার সহিত বিরোধ করিতে হয়, আবার পিতাকে লইয়া পতির সহিত বিবাদ বাধিয়া উঠে— উমার এমনি অবস্থা । গৌরী কন, আমি কইলে মিছে দন্দেজ হবে। সেই-যে আমার কাঙাল পিতা ভিক্ষা মাঙছেন কবে ॥ তার রাজার বেটা, দালান-কোঠা অট্টালিকাময়। যাগযজ্ঞ করছে কত, শ্মশানবাসী নয় ॥ তারা নানা দানপুণ্যবান দেবকার্য করে । এক দফাতে কাঙাল বটে, ভাঙ নাই তার ঘরে ॥ কিন্তু কড়া জবাব দিয়া কার্যোদ্ধার হয় না। বরং তর্কে পরাস্ত হইলে গায়ের জোর আরো বাড়িয়া উঠে। সেই বুঝিয়া দুর্গ তখন— গুটি পাঁচ-ছয় সিদ্ধির লাডু যত্ন ক’রে দিলেন। দাম্পত্যযুদ্ধে এই ছয়টি সিদ্ধির লাডু কামানের ছয়টা গোলার মতো কাজ করিল ; ভোলানাথ এক দমে পরাভূত হইয়া গেলেন। সহসা পিতা কন্যা ও জামাতার ঘনিষ্ঠ মিলন হইয়া গেল । বাক্যহীন নন্দী সকৌতুক ভক্তিভরে দ্বারপাশে দাড়াইয়া মনে মনে হাসিতে লাগিল । সন্ত্রমে সম্ভাষণ করি বসলেন তিন জন । দুর্গা, মর্তে যেয়ে কী আনিবে অামার কারণ ॥ প্রতিবারে কেবলমাত্র বিল্বপত্র পাই । দেবী বললেন, প্রভু ছাড কোন দ্রব্য খাই ।