পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se 瞬 লোকসাহিত্য আমি কোন মোহমন্ত্রে পাঠকদের সামনে আনিয়া উপস্থিত করিব! ভরস{ করি, এই ছড়াগুলির মধ্যেই সেই মোহুমন্ত্রটি আছে। দ্বিতীয়ত, আট-ঘাট-বাধা রীতিমত সাধুভাষার প্রবন্ধের মাঝখানে এই-সমস্ত গৃহচারিণী অকৃতবেশ অসংস্কৃত মেয়েলি ছড়াগুলিকে দাড় করাইয়া দিলে তাহাদের প্রতি কিছু অত্যাচার করা হয়— যেন আদালতের সাক্ষ্যমঞ্চে ঘরের বধূকে উপস্থিত করিয়া জেরা কর। কিন্তু উপায় নাই। আদালতের নিয়মে অণদালতের কাজ হয়, প্রবন্ধের নিয়মানুসারে প্রবন্ধ রচনা করিতে হয়— নিষ্ঠুরতাটুকু অপরিহার্য। যমুনাবতী সরস্বতী কাল যমুনার বিয়ে। যমুনা যাবেন শ্বশুরবাড়ি কাজিতলা দিয়ে । কাজিফুল কুড়তে পেয়ে গেলুম মালা । হাত-ঝুমঝুম্ পা-কুমঝুম সীতারামের খেলা ৷ নাচে তো সীতারাম কঁকাল বেঁকিয়ে । আলোচাল দেব টাপাল ভরিয়ে ॥ আলোচাল খেতে খেতে গলা হল কাঠ । হেথায় তো জল নেই ত্রিপূণির ঘাট । ত্রিপূর্ণির ঘাটে দুটো মাছ ভেসেছে। একটি নিলেন গুরুঠাকুর একটি নিলেন কে. তার বোনকে বিয়ে করি ওড়ফুল দিয়ে । ওড়ফুল কুড়তে হয়ে গেল বেলা । তার বোনকে বিয়ে করি ঠিক দুঙ্কুর বেলা । ইহর মধ্যে ভাবের পরম্পর সম্বন্ধ নাই সে কথা নিতান্তই পক্ষপাতী সমালোচককেও স্বীকার করিতে হইবে। কতকগুলি অসংলগ্ন ছবি - নিতান্ত সামান্য প্রসঙ্গস্বত্র অবলম্বন করিয়া উপস্থিত হইয়াছে। একটা এই দেখ।