পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেভুলানো ছড়া ר צ ও পারেতে দুটি মেয়ে নাইতে নেবেছে । ঝুম্ ঝুমু চুলগাছটি ঝাড়তে নেগেছে । কে রেখেছে কে রেখেছে, দাদা রেখেছে। অাজ দাদার ঢেলা ফেলা, কাল দাদার বে । দাদা যাবে কোনখান দে। বকুলতলা দে । বকুলফুল কুড়তে কুড়তে পেয়ে গেলুম মালা । রামধন্থকে বাদি বাজে সীতেনাথের খেলা ॥ সীতেনাথ বলে রে ভাই চালকড়াই খাব । চালকড়াই খেতে খেতে গলা হল কাঠ । হেথা হোথা জল পাব চিৎপুরের মাঠ । চিৎপুরের মাঠেতে বালি চিক্‌ চিক্‌ করে । সোনা-মুখে রোদ নেগে রক্ত ফেটে পড়ে ॥ ইহার মধ্যে কোনো ছবিই অণমাদিগকে ধরিয়া রাখে না, আমরাও কোনো ছবিকে ধরিয়া রাখিতে পারি না । বোটনবিশিষ্ট নোটন পায়রাগুলি, বড়ো সাহেবের বিবিগণ, দুই পারে ভাসমান দুই রুই কাতলা, পরপারে স্নাননিরত দুই মেয়ে, দাদার বিবাহ, রামধতুকের বাদ্য-সহকারে সীতানাথের খেলা, এবং মধ্যাহ্নরৌদ্রে তপ্তবালুচিকণ মাঠের মধ্যে খরতাপক্লিষ্ট রক্তমুখচ্ছবি— এ-সমস্তই প্লের মতো। ও পারে যে দুইটি মেয়ে নাহিতে বসিয়াছে এবং দুই হাতের চুড়িতে চুড়িতে ঝুম ঝুন শব্দ করিয়া চুল ঝাড়িতেছে তাহারা ছবির হিসাবে প্রত্যক্ষ সত্য, কিন্তু প্রাসঙ্গিকতা হিসাবে অপরূপ স্বপ্ন । এ কথাও পাঠকদের স্মরণে রাখা কর্তব্য যে, স্বপ্ন রচনা করা বড়ে৷ কঠিন । হঠাৎ মনে হইতে পারে যে, যেমন-তেমন করিয়া লিখিলেই ছড়। লেখা যাইতে পারে । কিন্তু সেই যেমন-তেমন ভাবটি পাওয়া সহজ নহে। সংসারের সকল কার্যেই আমাদের এমনি অভ্যাস হইয়া গেছে যে, সহজ ૨