পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেভুলানে। ছড়া ३७ দোলায় করিয়া ছয় পণ কড়ি শুনিতে শুনিতে যাওয়াকে যদি পাঠকের ছবির হিসাবে অকিঞ্চিৎকর জ্ঞান করেন তথাপি শেষ তিন ছত্রকে র্তাহারা উপেক্ষা করিবেন না। নদীর জলটুকু টলমল করিতেছে এবং তীরের বালি ঝুরুঝুরু করিয়া খসিয়া খসিয়া পড়িতেছে, বালুতটবর্তী নদীর এমন সংক্ষিপ্ত সরল অথচ মুম্পষ্ট ছবি আর কী হইতে পারে । এ তে এক শ্রেণীর ছবি গেল। আর-এক শ্রেণীর ছবি আছে যাহা বর্ণনীয় বিষয় অবলম্বন করিয়া একটা সমগ্র ব্যাপার আমাদের মনের মধ্যে জাগ্রত করিয়া দেয়। হয়তো একটা তুচ্ছ বিষয়ের উল্লেখে সমস্ত বঙ্গগৃহ বঙ্গসমাজ জীবস্ত হইয়া উঠিয়া আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে । সে-সমস্ত তুচ্ছ কথা বড়ে বড়ে সাহিত্যে তেমন সহজে তেমন অবাধে তেমন অসংকোচে প্রবেশ করিতে পারে না। এবং প্রবেশ করিলেও আপনিই তাহার রূপান্তর ও ভাৰাস্তর হইয়া যায়। দাদা গো দাদা শহরে যাও । তিন টাকা করে মাইনে পাও ॥ দাদার গলায় তুলসীমালা । বড বরনে চন্দ্রকলা ॥ হেই দাদা তোমার পায়ে পড়ি। বড এনে দাও খেলা করি । দাদার বেতন অধিক নহে– কিন্তু, বোমটির মতে তাহাই প্রচুর । এই তিন টাকা বেতনের সচ্ছলতার উদাহরণ দিয়াই ভগ্নীটি অকুনয় করিতেছেন— হেই দাদা তোমার পায়ে পড়ি । বড এনে দাও খেলা করি । চতুরা বালিকা নিজের এই স্বাৰ্থ-উদ্ধারের জন্য দাদাকেও প্রলোভনের ছলে আভাস দিতে ছাড়ে নাই যে বউ বরনে চন্দ্রকলা’। যদিও ভগ্নীর খেলেনাটি