পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ー&b" লোকসাহিত্য নিমীলিতনেত্রে মা দুই হস্তে স্বকোমল ভানা-মৃদ্ধ তাহাকে বেষ্টন করিয়া নিবিড় স্নেহবন্ধনে বুকে বাধিয়া ধরিয়াছেন, সেও স্বন্দর দেখিতে হয়। জ্যোতিবিদগণ ছায়াপথের নীহারিকা পর্যবেক্ষণ করিতে করিতে দেখিতে পান, সেই জ্যোতির্ময় বাষ্পরাশির মধ্যে মধ্যে এক-এক জায়গায় যেন বাষ্প সংহত হইয়া নক্ষত্রে পরিণত হইবার উপক্রম করিতেছে। আমাদের এই ছড়ার নীহারিকারাশির মধ্যেও সহসা স্থানে স্থানে সেইরূপ অর্ধসংহত আকারবদ্ধ কবিত্বের মূর্তি দৃষ্টিপথে পড়ে। সেই-সকল নবীনস্থষ্ট কল্পনামগুলের মধ্যে জটিলতা কিছু নাই— প্রথম বয়সের শিশু-পৃথিবীর ন্যায় এখনো সে কিঞ্চিৎ তরলাবস্থায় আছে ; কঠিন হইয় উঠে নাই। একটা উদদ্ভুত করি— জাদু, এ তো বড়ে রঙ্গ জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ । চার কালো দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । কাক কালো, কোকিল কালো, কালো ফিঙের বেশ । তাহার অধিক কালো, কন্যে, তোমার মাথার কেশ ৷ জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ । চার ধলো দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । বক ধলো, বস্ত্র ধলো, ধলে রাজহংস । তাহার অধিক ধলো, কন্যে, তোমার হাতের শঙ্খ ॥ জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ । চার রাঙা দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । জবা রাঙা, করবী রাঙা, রাঙা কুসুমফুল । তাহার অধিক রাঙা, কন্যে, তোমার মাথার সি“দুর ।