পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেভুলানো ছড়া . \9צ অপেক্ষ স্নিগ্ধ, সেই মেয়েটি— ষে মেয়ে সামান্ত কয়েকটি স্তুতিবাক্য শুনিয়া সহজ বিশ্বাসে ও সরল আনন্দে আত্মবিসর্জন করিতে প্রস্তুত হইয়াছে— তাহাকে আমাদের সেই বর্ণনাবহুল মাজিত ছন্দের বন্ধনের মধ্যে এমন করিয়া চিরকালের মতো ধরিয়া রাখিতে পারিতাম না। কেবল এই ছড়াটি কেন, আমাদের উপর ভার দিলে আমরা অধিকাংশ ছড়াই সম্পূর্ণ সংশোধন করিয়া নূতন সংস্করণের যোগ্য করিয়া তুলিতে পারি। এমন-কি, উহাদের মধ্যে সর্বজনবিদিত নীতি এবং সর্বজনদুর্বোধ্য তত্ত্বজ্ঞানেরও বাস নির্মাণ করিতে পারি। কিছু না হউক, উহাদিগকে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থার উন্নততর শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করিয়া দিতে পারি। বিবেচনা করিয়া দেখুন, আমরা যদি কখনো বর্তমান সভ্যসমাজে চাদকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিতে ইচ্ছা করি তবে কি তাহাকে নিম্নলিখিতরূপে তুচ্ছ প্রলোভন দেখাইতে পারি— অায় অায় চাদামামা টী দিয়ে যা । চাদের কপালে চাদ টী দিয়ে ষা । মাছ কুটলে মুড়ো দেৰ, ধান ভানলে কুঁড়ো দেব, কালে গোরুর দুধ দেব, । দুধ খাবার বাটি দেব, চাদের কপালে চাদ টী দিয়ে যা । এ কোন চাদ! নিতান্তই বাঙালির ঘরের চাদ । এ আমাদের বাল্যসমাজের সর্বজ্যেষ্ঠ সাধারণ মাতুল চাদ । এ আমাদের গ্রামের কুটিরের নিকটে বায়ু-আন্দোলিত বাশবনের রন্ধগুলির ভিতর দিয়া পরিচিত স্নেহহাস্তমুখে প্রাঙ্গণধূলিবিলুষ্ঠিত উলঙ্গ শিশুর খেল দেখিয়া থাকে ; ইহার