পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রাম্যসাহিত্য సె\లి, র্তাহীদের হাতে পড়িয়াছে। এখন গ্রাম্য ছড়াগুলি বোধ করি সমাজের অনেক নীচের স্তরে নামিয়া গেছে। ছড়াগুলির বিষয়কে মোটামুটি দুই ভাগ করা যায়। হরগৌরী-বিষয়ক এবং কৃষ্ণরাধ-বিষয়ক । হরগৌরী বিষয়ে বাঙালির ঘরের কথা এবং কৃষ্ণরাধা বিষয়ে বাঙালির ভাবের কথা ব্যক্ত করিতেছে। এক দিকে সামাজিক দাম্পত্যবন্ধন, আর-এক দিকে সমাজবন্ধনের অতীত প্রেম। o ழ் দাম্পত্যসম্বন্ধের মধ্যে একটা বিল্প বিরাজ করিতেছে, দারিদ্র্য। সেই দারিদ্র্যশৈলটাকে বেষ্টন করিয়া হরগৌরীর কাহিনী নানা দিক হইতে তরঙ্গিত হইয়া উঠিতেছে। কখনো-বা শ্বশুর-শাশুড়ির স্নেহ সেই দারিদ্র্যকে আঘাত করিতেছে, কখনো-বা স্ত্রী-পুরুষের প্রেম সেই দারিদ্র্যের উপর আসিয়া প্রতিহত হইতেছে। 莺 বাংলার কবিহীদয় এই দারিদ্র্যকে মহত্ত্বে এবং দেবত্বে মহোচ্চ করিয়া তুলিয়াছে। বৈবাগ এবং আত্মবিস্মৃতির দ্বারা দারিদ্র্যের হীনতা ঘুচাইয়া কবি তাহাকে ঐশ্বর্ষের অপেক্ষা অনেক বড়ো করিয়া দেখাইয়াছেন। ভোলানাথ দারিদ্র্যকে অঙ্গের ভূষণ করিয়াছিলেন ; দরিদ্রসমাজের পক্ষে এমন আনন্দময় আদর্শ আর কিছুই নাই । ‘আমার সম্বল নাই যে বলে সেই গরিব ; আমার অবিশু্যক নাই যে বলিতে পারে তাহার অভাব কিসের ? শিব তো তাহারই অাদর্শ। - অন্য দেশের ন্যায় ধনের সন্ত্রম ভারতবর্ষে নাই, অন্তত পূর্বে ছিল না। যে বংশে বা গৃহে কুলশীলসম্মান আছে সে বংশে বা গৃহে ধন নাই এমন সম্ভাবন৷ অামাদের দেশে বিরল নহে। এইজন্য আমাদের দেশে ধনী ও নির্ধনের মধ্যে বিবাহের আদান-প্রদান সর্বদাই চলিয়া থাকে। rā কিন্তু সামাজিক আদর্শ যেমনই হউক, ধনের একটা স্বাভাবিক মত্তত আছে। ধনগৌরবে দরিদ্রের প্রতি ধনী কৃপাকটাক্ষপাত করিয়া থাকে। যেখানে