পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
শকুন্তলা

দায়ও চিত্রিত করিব; এবং প্রথম দর্শন দিবসে প্রিয়ার কর্ণে শিরীষ পুষ্পের যেরূপ আভরণ দেখিয়াছিলাম তাহাও লিখিব।

 এইরূপ কথোপকথন হইতেছে এমত সময়ে প্রতীহারী আসিয়া রাজহস্তে এক পত্র সমৰ্পণ করিল। রাজা পাঠ করিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন। তখন মাধব্য জিজ্ঞাসা করিলেন বয়স্য! কোথাকার পত্র, পত্র পাঠ করিয়া বিষন্ন হইলে কেন?। রাজা কহিলেন বয়স্য! ধনমিত্র নামে এক বণিক্ সমুদ্র পথে বাণিজ্য করিত। সমুদ্রে নৌকা মগ্ন হইয়া তাহার প্রাণ ত্যাগ হইয়াছে। সে ব্যক্তি নিঃসন্তান। নিঃসন্তানের ধনে রাজার অধিকার। এই নিমিত্ত অমাত্য আমাকে তাহার সমুদায় সম্পত্তি আত্মসাৎ করিতে লিখিয়াছেন। দেখ, বয়স্য! নিঃসন্তান হওয়া কত দুঃখের বিষয়। বংশ লোপ হইল, নাম লোপ হইল, বহু কালে বহু কষ্টে উপার্জ্জিত ধন অন্যের হস্তে গেল। ইহা অপেক্ষা আক্ষেপের বিষয় আর কি হইতে পারে। এই বলিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কহিলেন আমার লোকান্তর হইলে আমারও বংশ, নাম ও রাজ্যের এই গতি হইবেক।

 রাজার এইরূপ আক্ষেপ শুনিয়া মাধব্য কহিলেন