পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
শকুন্তলা

অগ্রসর হইয়া তাহাদের অতি নিকটে উপস্থিত হইলেন; কিন্তু সহসা তাহাদের সম্মুখে না আসিয়া, এক বৃক্ষের অন্তরালে থাকিয়া, সস্নেহনয়নে সেই শিশুকে অবলোেকন করিতে লাগিলেন। এই সময়ে সেই বালক, কোই কি খেলানা দিবে দাও বলিয়া, হস্ত প্রসারণ করিল। রাজা, বালকের হস্তে দৃষ্টিপাত করিয়া, চমৎকৃত হইয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন কি আশ্চর্য! এই বালকের হস্তে চক্রবর্ত্তিলক্ষণ লক্ষিত হইতেছে। তাপসীদিগের সঙ্গে কোন খেলানা ছিল না; সুতরাং তাঁহারা তৎক্ষণাৎ দিতে না পারাতে, বালক কুপিত হইয়া কহিল তোমরা খেলানা না দিলে, আমি ইহাকে ছাড়িয়া দিব না। তখন এক তাপসী অপর তাপসীকে কহিলেন সখি! ও কথায় ভুলাবার ছেলে নয়। কুটীরে মাটীর মযুর আছে ত্বরায় লইয়া আইস। তাপসী মৃন্ময় ময়ূরের আনয়নার্থ কুটীরে গমন করিলেন।

 প্রথমে সেই শিশুকে দেখিয়া রাজার অন্তঃকরণে যে স্নেহের সঞ্চার হইয়াছিল, ক্রমে ক্রমে সেই স্নেহ গাঢ়তর হইতে লাগিল। তখন তিনি মনে মনে কহিতে লাগিলেন কেন, এই অপরিচিত শিশুকে ক্রোড়ে করিবার নিমিত্ত, আমার মন এত উৎসুক হইতেছে!। পরের পুত্র দেখিলে